বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে জোটপ্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকবাল, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক নূরুল আমিন বেপারী, লেবার পার্টির লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ, জাতীয় পার্টির এএসএম শামীম উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহবায়ক মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, সমন্বয়ক সারজিস আলম, মূখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সদস্য আরিফুল ইসলাম আদিব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত উমামা ফাতেমা।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সংগঠন দু’টির প্রতিনিধিরা।
বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপির সঙ্গে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রথমত প্রক্লেমেশন অব সেকেন্ড রিপাবলিক কীভাবে করা যায়, সেটি নিয়ে কথা বলেছি। দ্বিতীয়ত, চুপ্পুর অপসারণ দ্রুততম সময়ে কীভাবে করা যায়, রাজনৈতিক চেতনা কীভাবে তৈরি করা যায়, যেকোনো ধরনের সংকট কীভাবে পরিহার করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তৃতীয়ত, জাতীয় ঐক্য কীভাবে ধরে রেখে সরকারের সার্বিক ফাংশনিংয়ের ধারবাহিকতা অব্যাহত রাখা যায়, সেই বিষয়ে কথা বলেছি।
তিনি আরও বলেন, গত দুদিন আমরা বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাথে বৈঠক করেছি। তাদের সাথেও এসব বিষয়ে কথা বলেছি। তাদের জায়গা থেকে তারা একমত পোষণ করেছেন।
রবিবার গণ অধিকার পরিষদ, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোটের সাথে আমাদের বৈঠক রয়েছে। গত ৫ আগস্ট যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সেটার ধারাবাহিকতা কীভাবে ধরে রাখা যায়, এর জন্য আমাদের এসব বৈঠক অব্যাহত থাকবে।১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। এতে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি ও রাষ্ট্রপতিকে অপসারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
রবিবার রাজধানীর মালিবাগে ১২ দলীয় জোটের একটি দলের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ফারুক রহমান বলেন, আপনারা রাষ্ট্রকাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিন। মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে তারা ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত বছর রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। ওই ৩১ দফা বাস্তবায়ন করলেই বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।
প্রতিনিধি সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ এলডিপির নেতা সৈয়দ ইব্রাহিম রওনকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- ১২ দলীয় জোট শরিক জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের নুরুল আমিন ব্যাপারী, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আব্দুল করিম, কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ প্রমুখ নেতা।১২ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষনেতা ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান বলেছেন, শুধু ছাত্রলীগ নয়, শেখ হাসিনাকেও রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ, তিনি জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার নির্দেশদাতা! তাকে অবিলম্বে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এটা জুলাই গণবিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা।
রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ এলডিপির প্রতিনিধি সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
Tags
রাজনীতি