"

বিশ্ব সুন্দরী হতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন তারকা


নিজেকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে আমাদের কতই না প্রচেষ্টা। আর বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতা যেন আরও এক ধাপ এগিয়ে নেয় এই চেষ্টাকে। নানা দেশ থেকে হাজার হাজার নারীকে প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেখা যায়। আর এ নিয়ে ঘটেছে মজার মজার ঘটনাও। তবে এবার ঘটলো এক ভিন্নধর্মী ঘটনা, যা বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার ইতিহাসে বিরল।


সম্প্রতি থাইল্যান্ডে ঘটেছে এই অদ্ভুত ঘটনা। এই নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সেখানে। জানা যায়, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে চলছে মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের ১২তম আসরের চূড়ান্ত পর্ব। প্রথমসারির এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন ইউক্রেনের সুন্দরী ক্যাটেরিনা বিলিক। ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত পর্ব। অথচ শেষ মুহূর্তে জমজমাট এই আসর থেকে হঠাৎ করেই নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মিস গ্র্যান্ড ইউক্রেন।


২৮ বছর বয়সি ক্যাটেরিনা বিলিক নিজ দেশের মডেলিং ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর আগে তিনি ইতালীয় লাক্সারি ফ্যাশন হাউস বুলগেরিয়ার শুভেচ্ছাদূত ছিলেন বলে জানা যায়। এল ম্যাগাজিনের ইউক্রেনীয় সংস্করণের প্রচ্ছদেও দেখা গেছে এই সুন্দরীকে।


মিস গ্র্যান্ড ইউক্রেনের আগে তিনি ২০২০ সালে মিস প্রিন্সেস ইউক্রেন ও ২০২১ সালে মিস সুপারমডেল গ্লোব ইউক্রেনের খেতাব জয় করেন। তাকে অভিনেত্রী হিসেবে টেলিভিশন সিরিজেও দেখা গেছে। ‘টল গার্লস’ ও ‘দ্য ব্যাচেলর ইউক্রেন’ নামের দুটি রিয়েলিটি শোতেও অংশ নেন তিনি। এছাড়া ছয়টি ভাষায় বলতে, লিখতে ও পড়তে পারেন ক্যাটেরিনা বিলিক।


সব মিলিয়ে মিস গ্র্যান্ড ইউক্রেনকে ভাবা হচ্ছিল মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের একজন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে হঠাৎই ঘটল বিপত্তি। গেল ২০ অক্টোবর নিজের নাম প্রত্যাহারের জন্য ক্যাটেরিনা বিলিক দায়ী করেন আয়োজকদের বিভিন্ন অনিয়ম।


তিনি জানান, মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের আয়োজকরা তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছেন। নিয়মিত সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত একটানা বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রেখেছেন। সে সময় ক্যাটেরিনা বিলিক জ্বর, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন বলেও অভিযোগ করেন। ক্যাটেরিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকও একই কথা জানান।


তিনি অভিযোগ করেন, আয়োজকরা তার খাবারের সঙ্গে এমন কোনো ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলেন, যাতে তার অ্যালার্জি অ্যাটাক হয় এবং এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এছাড়াও কম্বোডিয়ায় থাকাকালে আয়োজকরা তিন দিনের জন্য তার পাসপোর্ট আটকে রাখেন।


যদিও মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্যাটেরিনা বিলিক যে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন, তা ভঙ্গ করার কারণে তাকে এই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তারা সব প্রতিযোগীর কাছ থেকে সর্বোচ্চ সততা ও পেশাদার আচরণ প্রত্যাশা করেন।


সূত্র : ভিয়েতনাম.ভিএন
Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال