"

শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে প্লট বরাদ্দ তদন্তে কমিটি


শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে বরাদ্দকৃত প্লটসহ রাজউকের সকল অবৈধ বরাদ্দ তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সাবেক বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরীরর নেতৃত্বে তিন সদস্যের এ কমিটিকে আগামী চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজির এ আদেশ দেন।


শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে রাজধানীর পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ বাতিলসহ রাজউকের সব অবৈধ বরাদ্দ বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের বিষয়ে আজ হাইকোর্টের আদেশের দিন ধার্য ছিল।


বুধবার (২৩ অক্টোবর) পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ বাতিলসহ রাজউকের সব অবৈধ বরাদ্দ বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য এদিন ঠিক করেন। তারই ধারাবাহিকতায় মামলাটি আদেশের জন্য কার্যতালিকায় ছিল।


গত ১০ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ বাতিলসহ রাজউকের সব অবৈধ বরাদ্দ বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দীন এ রিট করেন।


অন্য আইনজীবীরা হলেন- রেজাউল ইসলাম, আল রেজা মো. আমির, গোলাম কিবরিয়া, মোহাম্মদ হারুন, বেলায়েত হোসেন সোজা, কামরুল ইসলাম রিগান, হাসান মাহমুদ খান, শাহীনুর রহমান শাহীন এবং জিল্লুর রহমান।


রিটে অবৈধ বরাদ্দের সঙ্গে জড়িত এবং সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি জানানো হয়। এছাড়া এসব বরাদ্দের বিষয়ে তদন্তের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের একজন সাবেক বিচারপতিকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।


রিটে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, পূর্বাচল প্রকল্প পরিচালক, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীকে বিবাদী করা হয়।


রিটকারী আইনজীবী মিসবাহ উদ্দীন বলেন, রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) আলোচিত পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে স্বয়ং নিজের নামে প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন সদ্যসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্লট নিয়েছেন তার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। প্লট বরাদ্দ পাওয়াদের তালিকায় আরও আছেন-শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার দুই ছেলেমেয়ে। ২০২২ সালে তারা প্লট বুঝে পান। পরে বিষয়টি রাষ্ট্রীয় অতিগোপনীয় বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ফলে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া খোদ রাজউকেরই অনেকে এ বিষয়ে তেমন কিছুই জানেন না। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ১০ কাঠা আয়তনের প্লট নিয়েছেন। প্রস্তাবিত কূটনৈতিক জোনে সব প্লট একত্রে সন্নিবেশিত করার সুযোগ দেয় রাজউক।


বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দীন জানান, নিজেকে অসহায় এবং নিঃস্ব বলে সভা-সমাবেশে রাজনৈতিক বক্তব্য দিলেও শেখ হাসিনা স্বয়ং নিজের নামে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন। পূর্বাচলে প্রস্তাবিত কূটনৈতিক জোন ২৭ নম্বর সেক্টরে ২০৩ নম্বর রোডে তার প্লট নম্বর ০০৯। ২০২২ সালের ৩ আগস্ট তার নামে বরাদ্দপত্র ইস্যু করে রাজউক। শেখ হাসিনার বাসভবন ধানমন্ডির ৫৪ সুধা সদনের ঠিকানায় বরাদ্দপত্র পাঠানো হয়।
Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال