"

রাষ্ট্রপতির অধীনে শপথবাক্য পাঠ করায় গণ-আকাঙ্ক্ষার কবর হয়েছে


তিনি বলেছেন, ‘আমরা যারা গণঅভ্যূত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছি, আমাদের কখনোই পরিকল্পনা ছিল না যে, একটি বিতর্কিত, ফ্যাসিস্টের দোসর একজন রাষ্ট্রপতির অধীনে আমাদের শপথ হবে। যেটিকে আমরা ভয় পেতাম, ঠিক সে ধরনের কর্মকাণ্ডই আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই রাষ্ট্রপতির অধীনে শপথবাক্য পাঠ করায় প্রকৃতপক্ষে আমাদের আমাদের যে চাওয়া, যে আকাঙ্ক্ষা—সেটির কবর হয়েছে ।’

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সরকারি টেলিভিশন বিটিভির ‘আগামীর বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহিন সরকার আরও বলেন, তখন দেশের যে ঘোলাটে পরিস্থিতি ছিল, এ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের যে প্রবণতা বিশ্বের বৃহৎ পরাশক্তিগুলোর, সেখান থেকে আমাদের অভিভাবকরা পরামর্শ দিয়েছিলেন যেভাবে, সেখান থেকেই রাষ্ট্রপতির অধীনে শপথ নেওয়া হয়।

বিপ্লবী সরকার গঠন নিয়ে মাহিন সরকার বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন গণঅভ্যুত্থানের দিকে গিয়েছে, আমরা যারা দিকনির্দেশনা দিতাম বিভিন্নভাবে, আমাদের মস্তিষ্কে শুধু এটাই ঘুরপাক খেত— আমরা একটি বিপ্লবী সরকার গঠন করবো। আমাদের আশা ছিল শপথ পড়াবে (নতুন সরকারকে) একজন যে আহত অথবা কোনো শহীদের বাবা অথবা মা। আমাদের সরকার এরকম হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের চিন্তা ছিল এ গণঅভ্যুত্থানে একটা বড় মিছিল সচিবালয় থেকে এসে আমাদের সঙ্গ যুক্ত হবে, ক্যান্টনমেন্ট থেকে একটা বড় মিছিল এসে যুক্ত হবে। একটি বিপ্লবী ফোর্স, একটি বিপ্লবী সরকার গঠন হবে।’

মাহিন সরকার মনে করেন, জনগণের ম্যান্ডেটে যে সরকার এসেছে, জনগণ রক্তের দাম দিয়ে যে ফ্যাসিস্টকে উৎখাত করেছে, এরচেয়ে বড় ম্যান্ডেট আর কিছু নেই।

তিনি বলেন, যদি বলা হয় পার্লামেন্টারি সিস্টেমের কথা, তাহলে বলব যে, বিগত পার্লামেন্টারি সিস্টেমের দোহাই দিয়ে যদি কেউ ফ্যাসিস্টকে ফ্যাসিস্ট বলতে না পারে, তবে আমরা যেহেতু রেভ্যুলেশনারি, আমরা সে পার্লামেন্টারি ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করব। সে চ্যালেঞ্জের জায়গা থেকে আমরা গণঅভ্যূত্থান ঘটিয়েছি।

রাষ্ট্রপতির বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয়ে মাহিন বলেন, রাষ্ট্রপতির বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ হয়েছে। ছাত্ররা এবং সাধারণ জনগণ মাঠে নেমে এসেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ হবে এবং হচ্ছে।

ইত্তেফাক
Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال