ছাত্রলীগ হত্যা, গুম, ধর্ষণসহ বিভিন্ন কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল। এর থেকে যেন দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল শিক্ষা নেয়। তাদের দলের অঙ্গসংগঠনের কেউ যেন অদূর ভবিষ্যতে ছাত্রলীগের মতো খারাপ কাজ করতে আর সাহস না পায়। পরবর্তী ও বর্তমান সরকারের কাছে এটাই আমার প্রত্যাশা।’
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের পর এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হল ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর নির্যাতনে নিহত আবরার ফাহাদের বাবা রোকেয়া খাতুন।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের পাশে আবরারের বাড়িতে কথা হয় মা রোকেয়া খাতুন ও বাবা বরকত উল্লাহের সঙ্গে। এসময় তিনি কাছে এভাবেই তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
‘হাতমুখ ধুয়ে নামাজ পড়ে তোমার সঙ্গে দেওয়া খাবার খেয়ে নাও’—পাঁচ বছর আগে আবরারের সঙ্গে এটাই ছিল মায়ের শেষ কথা। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সকালে আবরারকে নিজে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছিলেন মা।
ওইদিনের স্মৃতিচারণ করে অশ্রুসিক্ত চোখে মা রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘গতরাতে সংবাদে দেখলাম ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্বৈরাচারী শাসনামলে ছাত্রলীগের দুঃসাহস যদি এতটা না থাকতো তাহলে তারা এতটা বিপদজনক হতো না। ওইরাতে আমার ছেলেকে তারা নির্মম, নিষ্ঠুরভাবে অত্যাচার করে হত্যা করেছে। সেটা পুরো দেশবাসী জানে।’