"

পলায়নকারীদের পদত্যাগপত্রের মূল্য নেই : রাশেদ প্রধান


জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, আটশ বছর পূর্বে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজির আক্রমণে দিশাহারা হয়ে এই বাংলা ছেড়ে পালিয়েছিলেন লক্ষণ সেন। লক্ষণ সেনের পরে সরকারপ্রধান হিসেবে বাংলা ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেন বংশের লক্ষণ সেন আর শেখ বংশের শেখ হাসিনার বাংলা ছেড়ে পলায়নের ইতিহাস সারা বিশ্ব জানে। পলায়নকারীদের আবার পদত্যাগপত্র কী? তারা পদত্যাগ করলেও যা, না করলেও তাই। তাদের পরিচয় তারা পলায়নকারী। সুতরাং পলায়নকারীদের পদত্যাগপত্রের মূল্য নেই।


বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে দিনাজপুর জেলা জাগপা কার্যালয়ে দলের সভাপতি মরহুমা অধ্যাপিকা রেহানা প্রধানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


রাশেদ প্রধান বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়- পলায়নকারী শাসকরা শাসনের নামে শোষণ করে, আর পলায়নের পর ষড়যন্ত্র করে। শেখ পরিবারমুক্ত বাংলার মানুষ প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে। বাংলার মানুষ আর ভারতের করদ রাজ্য হতে চায় না। তাই বাংলার মানুষ শেখ হাসিনা, শেখ পরিবার, দিল্লি কিংবা ভারতের নতুন কোনো ষড়যন্ত্র মাথা পেতে নিবে না।


তিনি মরহুম শফিউল আলম প্রধানের স্মৃতিচারণ করে বলেন, শফিউল আলম প্রধান ও স্বাধীনতার ইতিহাস এবং ’৭১'র দিনাজপুরের পটভূমি এক ও অভিন্ন ইতিহাস। এই দিনাজপুরে শফিউল আলম প্রধানের হাতে ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন হয়েছিল। আর মরহুমা অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান ছিলেন একজন নারী মুক্তিযোদ্ধা। তিনি স্বাধীনতা থেকে আমৃত্যু দেশের জন্য, দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আপসহীন সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন।


দিনাজপুর জেলা জাগপার সভাপতি অ্যাডভোকেট নুর নবীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইমরুল কায়েস রুপমের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন- দিনাজপুর জেলা জাগপার সহসভাপতি মাহবুবুল আলম ননী, পঞ্চগড় জেলা জাগপার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আলম বিপ্লব, সহসভাপতি মফিদুল ইসলাম মফি, দিনাজপুর জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক অরুন মহন্ত, দপ্তর সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান মিয়া প্রমুখ।

ক্রেডিট কালবেলা 
Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال