অনুযায়ী বণ্টন করা যেতে পারে বলে মত দেয় তারা। দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দেশের বর্তমান সংবিধানে থাকা পুরুষতান্ত্রিক ভাষা ও শব্দ বাদ দেওয়ার পক্ষে মত জানিয়েছে সুজন।
সূত্র জানায়, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম সংবিধান ফের লিখনের বিরোধিতা করে সংশোধন ও সংযোজনের পরামর্শ দেন। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনঃস্থাপন এবং একই ব্যক্তি যাতে দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিরঙ্কুশ ক্ষমতা খর্ব করে কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষে মত দেন। আইন, বিচার ও শাসন বিভাগের মধ্যে ভারসাম্যের পরামর্শ দেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুদক, মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশনসহ বিভিন্ন কমিশনপ্রধানের নিয়োগের স্পষ্ট বিধান সন্নিবেশিত করার পরামর্শ দেন।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এবং অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসসহ আরও কয়েকজন সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম না রাখার পক্ষে মত দেন।
সংস্কার কমিশনের কাছে দেওয়া মতামত সম্পর্কে জানতে চাইলে ড. বদিউল আলম মজুমদার কালবেলাকে বলেন, আমরা বিকেন্দ্রীভূত শাসন ব্যবস্থার কথা বলেছি। কথা বলেছি নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকারকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায় সে বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণার কথা বলেছি।
অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, সংবিধান হবে জনগণতান্ত্রিক। সেজন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাদ দিয়ে জনগণতান্ত্রিক করার পরামর্শ দিয়েছি। কারণ, রাষ্ট্রপতির মধ্যে পতি অর্থ স্বামী, আমরা চিন্তাই করিনি যে নারী রাষ্ট্রপতি হতে পারে। এটা সামন্ততান্ত্রিক চিন্তা। কারণ, জনগণ প্রজা হবে কেন?
তিনি বলেন, নারী প্রতিনিধিত্বকে আরও ইন্টারসেকশনালি করার পক্ষে বলেছি যাতে দলিত, চা বাগানের শিক্ষিত নারীরা জায়গা পায়, যাতে প্রত্যেকটা জায়গায় প্রতিনিধিত্ব হয়।
জোরালোভাবে আদিবাসী জাতিগুলোর নাম ও তাদের ভাষা উল্লেখ করার দাবি করেছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন জাতি, ধর্ম ও ভাষার স্বীকৃতির বিষয়টি জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেনবহুত্ববাদ প্রতিফলিত হয়। দ্বৈত নাগরিকত্ব অযোগ্য বিধান কঠোরভাবে মেনে চলার কথাও বলেছি। বলেছি, রাষ্ট্র আর ধর্মের বিযুক্তির কথা।