"

টিকটকার মুন্নিকে ধর্ষণের পর হত্যা, চাঞ্চল্যকর রহস্য উদ্ঘাটন


চুয়াডাঙ্গায় আলোচিত টিকটকার খালেদা আক্তার মুন্নি হত্যার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশ।


শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।


সংবাদ সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম জানান, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানাধীন ভাংবাড়িয়া গ্রামের খোয়াজ আলী শেখের মেয়ে খালেদা আক্তার মুন্নি (১৮) গত ৯ নভেম্বর দুপুরে আনুমানিক ১২টায় হাটবোয়ালিয়া বাজারে কেনাকাটা করার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। একই দিন সন্ধ্যা আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টায় তার মাকে জানায় কেনাকাটা করতে রাত হয়েছে, আলমডাঙ্গা খালার বাসায় থাকবে। পরবর্তী সময়ে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তার পরিবারকে সংবাদ দিলে পরিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ট্যাটু দেখে লাশটি খালেদা আক্তার মুন্নির বলে শনাক্ত করে। এ ঘটনায় মুন্নির মা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা করেন।


চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার মূলরহস্য উদ্ঘাটনসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম ও আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনার মূলরহস্য উদ্ঘাটন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামিকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে মাঠে নামে। অবশেষে ডিবি অভিযান পরিচালনা করে গত শুক্রবার রাত আড়াইটায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামিদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।এ ঘটনায় গ্রেপ্তাররা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিরা হলো চুয়াডাঙ্গার হাজরা হাটি গ্রামের শেখ পাড়ার টোকন আলীর ছেলে মানিক আলী ওরফে মানিক মুন্সি এবং একই গ্রামের মইদুল ইসলামের ছেলে পারভেজ মুন্সি ওরফে স্বপন।
Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال