ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্ণ হয়েছে গত ১৫ নভেম্বর। এই সময়ে সরকারের প্রধান প্রধান সাফল্য এবং কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি সরকারের ১০০ দিনের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি কী কী কাজ করা হচ্ছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্ণ হওয়ার পর প্রধান সাফল্যগুলো তুলে ধরেছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
পররাষ্ট্রনীতিতে নতুন দিশা
অধ্যাপক ইউনূস বারবার সার্কের পুনরুজ্জীবনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে আসিয়ানের সদস্যপদ পাওয়ার জন্য সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। তার মতে, বাংলাদেশ ভারতকে বন্ধু হিসেবে চায়, তবে সম্পর্কটি ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে হতে হবে। রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের কাজ দ্রুততর করা হয়েছে, যা শরণার্থী শিবিরগুলোর ওপর চাপ কমাতে সহায়ক হবে। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি নতুন দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ নেতৃত্বাধীন একটি নতুন সম্মেলনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ
গত ১০০ দিনে আমাদের সমাজে নজিরবিহীন বিতর্কের সূচনা হয়েছে। মাদ্রাসার ছাত্র থেকে শহুরে অভিজাত, নারীবাদী থেকে দক্ষিণপন্থি সবাই এই বিতর্কে অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন নতুন সেমিনার ও আলোচনার আয়োজন করা হচ্ছে। ইতিহাস নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। চিন্তা-ভাবনা গভীরভাবে ভাগ করা হচ্ছে এবং আলোচনা করা হচ্ছে। তরুণ তারকারা জাতীয় মঞ্চে তাদের আগমন ঘোষণা করেছে। পুরোনো তারকারা নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা টিকিয়ে রাখতে সংগ্রাম করছে।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে এমন কিছু সেরা বই দেখা যাবে যেগুলো আমাদের সমাজের কাঠামো নিয়ে গভীর আলোচনার ভিত্তি গড়তে পারে।
Tags
জাতীয়