"

অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিতে হবে: মির্জা ফখরুল

অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিতে হবে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিভিন্ন জায়গায় নেতিবাচক কথাবার্তার কারণে ফ্যাসিবাদীরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। শনিবার দুপুরে ‘‘বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্ট-২০২৪’’–এ তিনি এ মন্তব্য করেন।

ন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্টের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম মুনিরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের সামনে যে সংকট আছে, সেই সংকট উত্তরণে ধৈর্য্য ধরে সংস্কারকাজ সম্পন্ন করতে হবে এবং নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারি সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এই সরকারকে সময় দিতে হবে। তাদের আমরা দায়িত্ব দিয়েছি, তারা কাজ করছেন।’

ফখরুল আরও বলেন, ‘সংস্কার করার জন্য সরকার কমিশন গঠন করেছে, আইন পরিবর্তন করেছে, আইনগুলো নিয়ে কাজ করছে। বেশ কিছু ফ্যাসিবাদের দোসরকে আটক করেছে। বিচারের ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই বিষয়গুলো কিছু করছে। সব কিছু একসঙ্গে সম্ভব নয়।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে জঞ্জাল সৃষ্টি করে গেছে সেই জঞ্জালগুলোকে সরিয়ে একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যাতে করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা এই যুবকদের চাওয়া, তরুণদের চাওয়া যে নতুন বাংলাদেশ সেটা তৈরি করতে পারি। আমরা নির্বাচনের কথা বারবার বলছি, অনেকে প্রশ্ন করেছেন আপনি এত নির্বাচনের কথা বলেন কেন? কারণ আমি মৌলিকভাবে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একজন মানুষ। আমি বিশ্বাস করি যে, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সংস্কার কখনোই সফল হতে পারে না। জনগণের অ্যাকটিভ পার্টিসিপেশন সম্ভব একটা নির্বাচিত পার্লামেন্টের মাধ্যমে।’

তরুণদের মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা এত বড় একটা অসাধ্য সাধন করেছেন; ফ্যাসিবাদ যেন মাথাচাড়া না দেয় তার জন্য আপনারা কাজ করবেন। আমি বিশেষ করে তরুণদের বলব, অনুরোধ করব যে, আপনাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে যে এবার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে সেই সুযোগ যাতে কোনো মতেই হাতছাড়া না করি। এবার এই সুযোগ হারিয়ে গেলে আমাদের জাতি হিসেবে অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে।’

বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্টের অধিবেশনে গণসংহতি আন্দোলনের জেনায়েদ সাকি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটি মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জামিল আহমেদ, জহিরুল আলম, ইয়ুথ ফোরামের মেহেরুন্নেসা হক, সোহান হাফিজ, তানজিনা নওসিন, মনিরুজ্জামান মুনির, মেহেদি হাসান মিঠু, শফিউল কবির, জেরিন আনজুম মৌ, আয়ান আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এর আগে জুলাই বিপ্লবে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী হাফেজ ইমরানের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয় আর্থিক অনুদান। এছাড়া সামাজিক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ দুটি সামাজিক সগঠনকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال