"

১১ কোটি টাকা ঋণ, ব্যাংককে সাবেক মেয়রের ‘নাকানিচুবানি’


চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রথম ও সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীকে ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার ২২৯ টাকা ঋণ দিয়ে বেকায়দায় পড়েছে এসবিএসি ব্যাংক পিএলসি। সেই ঋণ এখন সুদসহ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ৬৬ টাকা।


জাতীয় পার্টির এই নেতার কাছ থেকে পাওনা আদায়ে বহু চেষ্টা করে কানাকড়ি টাকাও উদ্ধার করতে পারেনি ব্যাংকটি। শেষে আদালতের শরণাপন্ন হয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। করা হয় মামলা।


বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে এক আদেশে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান।


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম।


আদালত সূত্রে জানা যায়, মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজের নামে এই টাকা ঋণ নেন চসিকের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। এরপর টাকা পরিশোধের বহু তারিখ দিলেও তা পরিশোধ করেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০২২ সালে অর্থঋণ আদালতে মামলা করে এসবিএসি ব্যাংক পিএলসির চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা।


চলতি বছরের ২৭ মার্চ ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার ২২৯ টাকার ওপর আদায় কালতক ১২ শতাংশ হারে সুদের ডিক্রি হয়। ডিক্রির টাকা ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু তাও পরিশোধ করেননি তিনি। পরে ৮ জুলাই তার বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ৬৬ টাকা আদায়ের দাবিতে জারি মামলা করা হয়।


অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রোজাউল করিম কালবেলাকে বলেন, মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজ কিংবা সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, কারোরই ঋণের বিপরীতে স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক বা সহায়ক জামানত ছিল না। তাই দায় সমন্বয়ের জন্য নিলাম কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। ডিক্রিদার ব্যাংক হলফনামাসহ অর্থঋণ আইনে ৩৪ ও ৩৫ ধারা মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।


তিনি আরও বলেন, এই মামলা করার প্রায় দুই বছর অতিক্রম হলেও তারা ব্যাংককে কোনো টাকা পরিশোধ করেননি। যে কারণে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায়ে বাধ্য হয়ে তাদের বিরুদ্ধে পাঁচ মাসের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ ছাড়া তা কার্যকর করতে তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে।


জানা যায়, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র ও চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র হিসেবে ১৯৮৯-১৯৯০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। ২০১৮ সালে জাতীয় পার্টি থেকে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।


এসব বিষয় নিয়ে জানতে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।
Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال