"

কোটায় পুলিশ হয়ে বাবাকে মুক্তিযোদ্ধা বানান রফিক


স্ত্রী ফারজানা রহমানের নামে গোপালগঞ্জের পাইককান্দি ইউনিয়নের আমুড়িয়া মৌজায় ৪৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন রফিকুল ইসলাম। জমির বর্তমান বাজারদর প্রায় ১ কোটি টাকা। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে ২০২২ সালে গুলশানে ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালের পাশে ১৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা দিয়ে ৬ হাজার বর্গফুটের ফ্লোর এবং রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি প্লট ক্রয় করেছেন। ঢাকা ও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ভবন ও নিজ নামে জমি কিনেছেন। মানি লন্ডালিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণে অর্থ পাচার করেছেন এবং দুবাইয়ে তার একটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে।


এর বাইরে সম্পদ গড়েছেন স্ত্রী ও ভাইদের নামে। রফিকুলের শ্বশুরের নামে রাজধানীর নাখালপাড়ায় পাঁচতলা ও ছয়তলা দুটি ভবন, ভাইদের নামে প্রায় ১০ একর জমি, ভাই আমিনুলের নামে কাকরাইলে ফ্ল্যাট, আরেক ভাই দিদারুলের নামে মোহাম্মদপুরে ফ্ল্যাট, ভাতিজি ঊর্মীর নামে ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট। ভাতিজির স্বামীর নামে একটি বাড়ি, রফিকুলের স্ত্রী ফারহানা রহমানের নামে ‘এমভি সি কোয়েস্ট-৩’ জাহাজ, যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর এম-১২৭৩৬। শ্বশুরের নামে রয়েছে দুটি জাহাজ ‘এমভি সি কোয়েস্ট-১’ ও ‘এমভি সি কোয়েস্ট-২’—যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর যথাক্রমে এম-৭৫৪৪ ও এম-১২৯৮৩।


রফিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত দলিল লেখক ও ভাগ্নে উজ্জ্বল মামুন চৌধুরীর নামে শুধু গোপালগঞ্জেই ৭ একরের ওপরে জমি রয়েছে। গোপালগঞ্জের নবিনবাগে মহিলা মাদ্রাসা রোডে ৩ তলা একটি বাড়ি রয়েছে। রফিকুলের বোন ফেরদৌসী বেগমের নামে অগ্রণী ব্যাংক ঢাকার গ্রিন রোড শাখায় ১০ কোটি টাকার এফডিআর রয়েছে, যার হিসাব নম্বর ৩০৩৯২৯০০২৩/২০১৭। ভাই মাহফুজুর রহমানের নামে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২৭নং বিজয়পাশা মৌজায় একটি মার্কেট রয়েছে, যার দাগ নং ৩২৬, যার নাম কানাডা সুপার মার্কেট।


জানতে চাইলে দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ‘অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ইসলামের নামে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে শত শত কোটি টাকার সম্পদের প্রমাণ মিলেছে, যা তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত। আমরা সেসব সম্পদ তালিকাভুক্ত করে আদালতে জব্দের আবেদন করেছি। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করে জব্দের আদেশ দিয়েছেন।’
Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال