টুইটে আরও দাবি করা হয়, “ইসকন ভারত সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছে যেন তারা অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা করে এই বিষয়টি স্পষ্ট করে যে আমরা একটি শান্তিপ্রিয় ভক্তি আন্দোলন।”
তারা ইসকন নেতা চৈতন্য কৃষ্ণ দাসকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধও জানায়। নিজেদের শান্তিপ্রিয় ভক্তি আন্দোলনের পথিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভারত সরকারকে অবিলম্বে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ও বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য আহ্বানও জানিয়েছে ইসকন।
গভীর রাতে করা এই টুইটে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনকে ট্যাগ করেছে ইসকন।
এর আগে সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মঙ্গলবার সকালে তাকে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ ওঠে।