"

দাদা-দাদির কবরের পাশে শায়িত হলেন নাঈম


দাদা-দাদির করবের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন গাজীপুরে পিকনিক বাসে বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যুবরণ করা মেধাবী শিক্ষার্থী মোজাম্মেল হোসেন নাঈম। রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ফেনীর সদর উপজেলার ফতেহপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে নাঈমকে শেষ বিদায় জানান স্বজনরা।


নাঈম শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুর গোলাম নবী ভুঁইয়া বাড়ির মোতাহের হোসেন শাহীনের ছেলে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন মেজ। ২০১৯ সালে ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। এরপর ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন। তিনি তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন।


শোকাহত স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, নাঈম পড়ালেখায় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তার বাবা ফেনীর ফাজিলপুর সাউথ ইস্ট ডিগ্রি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। অনেক কষ্ট করে তিনি নাঈমকে পড়ালেখা করাচ্ছেন। বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলেকে দেশসেরা প্রকৌশলী বানানোর। সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিল নির্মম এক মৃত্যু।


এর আগে গতকাল শনিবার (২৩ নভেম্বর) গাজীপুরের শ্রীপুরে বনভোজনে যাওয়ার পথে দ্বিতল বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যু হয় মেধাবী শিক্ষার্থী নাঈমের। শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা।


নাঈমকে একপলক দেখতে বাড়িতে ভিড় জমান আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও সহপাঠীরা। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে ফতেহপুর ভূইয়া বাড়িতে। পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এমন মৃত্যু হয়েছে বলে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন স্বজনরা। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি করেন তারা।


নাঈমের জানাজায় জামায়াত ইসলামের আমির মুফতি আবদুল হান্নান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট নুর ইসলাম, ফেনী জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়াসহ নাঈমের সহপাঠী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال