হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে রেলের বিশাল জায়গা রয়েছে। যারা দখল করে রেখেছেন, দখলদারদের কোনো দল থাকতে পারে না। ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রামকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি, এই শহরে কারও জায়গা কেউ দখল করতে পারেনি। এই শহরে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি যেন কেউ করতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রত্যেককে কাজ করতে হবে।
চট্টগ্রামে কোনো চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসের জায়গা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি সন্ত্রাসী করে, তাহলে আমরা বাধা দেবো। কিন্তু আমাদের প্রতিটি ভালো কাজে বাধা দেন হাইকোর্ট। সুতরাং তাদেরও জনগণের স্বার্থ বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ রইল। চট্টগ্রামের সবুজ আওয়ামী লীগের আমলে ধ্বংস করা হয়েছে। বিপ্লব উদ্যানকেও লুটপাট করা হয়েছিল। আগ্রাবাদের ঢেবার পারে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে করা যাবে। কিন্তু সেটাও দখল হয়ে গেছে। চট্টগ্রামের কোথাও এখন খেলার মাঠ নেই। ফলে চট্টগ্রামের অনেক উন্নয়ন করতে হবে। এ জন্য সবার সহযোগিতা লাগবে। সবার আগে চট্টগ্রামে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস, বিদ্যুৎ যেন থাকে, এই বিষয়ে কাজ করতে হবে।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব বলেন, চট্টগ্রামের কোথাও পার্ক নেই। আমাদের ওপর যে অর্পিত দায়িত্ব তা পালনের চেষ্টা করছি। মানুষের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা চলছে। পুলিশে সংস্কার চলছে। আশা করি ভালো সংস্কার হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, কর্ণফুলী নদীর পাশের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে আমরা নতুনভাবে জনবান্ধব সার্ভিস চালু করেছি।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম, ২৪ পদাতিক ডিবিশনের মেজর মাহমুদ সোহেল, চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের আমির ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির ইকবালসহ আরও অনেকে।
Tags
সারাদেশ