"

ক্ষোভে ফুঁসছে ছাত্র-জনতা, টকশো স্থগিত করলেন খালেদ মুহিউদ্দীন


নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে একটি টকশো আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোপের মুখে পড়েছেন সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন। অবশেষে ছাত্রলীগের সভাপতিকে নিয়ে টকশো স্থগিত করেছেন তিনি।

বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ঘোষণা:
অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন। একাধিক আইনজীবীর পরামর্শ মতে, বাংলাদেশের দিক থেকে ছাত্রলীগের কারো বক্তব্য প্রচার আইনত ঠিক হবে না। এই বিবেচনায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতির অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হল।বুধবার (৬ নভেম্বর) ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতিকে নিয়ে টকশো আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।

ফেসবুক পেজে দেওয়া সেই পোস্টে বলা হয়, ‘৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়, মুখোমুখি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতি। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন- টকশোতে অতিথি সম্প্রতি সরকারি নিষেধাজ্ঞায় পড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। দেখুন, সঙ্গে থাকুন, করুন মন্তব্য।’এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম ফেসবুকে পোস্টে লেখেন, ‘খালেদ মুহিউদ্দীন ভাই, এর পূর্বে কয়টা নিষিদ্ধ সংগঠনের লিডারের সঙ্গে টকশো করেছেন? এটা আমাদের দুই হাজারের অধিক শহীদের সঙ্গে বেঈমানি, অর্ধলক্ষ রক্তাক্ত ভাইবোনের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতিকে প্রমোট করার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের শহীদ ও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির সঙ্গে প্রতারণা করা হলো।’

এছাড়াও ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ফেসবুক পেজের কমেন্টবক্সেও আসতে থাকে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়ামূলক মন্তব্য। যোবায়ের হোসেন নামক একজন লেখেন, ‘আপনি এটা করতে পারেন না। তাদের গায়ে এখনো তাজা রক্তের গন্ধ লেগে আছে। বন্ধ করুন এগুলো।’

রাকিবুল ইসলাম নামক আরেক নেটিজেন কমেন্টে লেখেন, ‘অত্যন্ত জঘন্য সিদ্ধান্ত। নিষিদ্ধ ঘো‌ষিত খু‌নি-পলাতক আসামি কেন আপনার মেহমান হয়? কেন আপ‌নি তা‌দের আশ্রয় দি‌চ্ছেন? আপনার এই সিদ্ধান্ত ঘৃণার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছি।’

আবদুল্লাহ আল মামুন লিখেছেন, আপনার সম্বন্ধে মানুষের অলরেডি মিশ্র একটা ধারণা শুরু হয়েছে এই লাইভের মাধ্যমে একদম বুঝে যাবে আপনার উদ্দেশ্য কি আশা করি আপনি এই খুনিকে লাইভে নিয়ে আসা থেকে বিরত থাকবেন। তা না হলে মানুষ আপনাকে বয়কট করবে। তারিক আল আজিজ লিখেছেন, আপনার থেকে কখনো আশা করিনি, শহীদের রক্ত এখন শুকাইনি বয়কট…এ প্রসঙ্গে এক্সে এক পোস্টে সাংবাদিক মনোয়ার আলম নির্ঝর লিখেছেন, ‘এ ধরনের অনুষ্ঠানকে বলতে পারেন দায়মুক্তি অনুষ্ঠান। খুব বড় ভুল অনুমান না করলে খালেদ মুহিউদ্দীনকে এই দায়মুক্তি টকশোর গেস্ট ঠিক করে দিয়েছেন বা যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন অমি রহমান পিয়াল। এর আগে সালমান এফ রহমান, আজিজদেরকেও তিনি একসময় দায়মুক্তি দিয়েছেন। এদিকে আবার ঠিকানা প্রতিষ্ঠা করছে যারা তাদের সম্পর্কে খোঁজ নেন। এখনকার মালিক দেখে বিভ্রান্ত হইএন না, একদম শুরুর গল্প দেখেন।

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার।

Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال