"

স্পেশাল চোরদের জন্য স্পেশাল শাস্তি চান পার্থ

অর্থনৈতিক রাষ্ট্রদ্রোহীতার আইন এই দেশে পাশ করানো উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রের পথে সংবিধান সংস্কার প্রস্তাব শীর্ষক সভায় বিজেপির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

পার্থ আরো বলেন,সংসদ সদস্য হিসেবে আমাদের দায়িত্ব কি? সংবিধানের কোথাও আমাদের দায়িত্বের কথা বলা নেই বলেই সংসদ সদস্যরা গম,জিআর,টিআর এগুলো চুরি করে আজ হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। এমপিদের কোনো দায়িত্ববোধ নিয়ে সংবিধানে লিখা নেই। 

এছাড়াও তিনি বলেন, একজন এমপির এলাকায় এলজিডি উনি হবেন, মসজিদের চেয়ারম্যান হবে, স্কৃুলের চেয়ারম্যান হবে। কিন্তু একজন সংসদ সদস্যের স্কুলে কি কাজ? কারণ সভাপতি হলে চাকরি দিয়ে তাদের লোক নিতে পারবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই সরকার যত পরিমাণ চুরি করেছে, তা আমরা আগে কখনো দেখি নি, এছাড়াও বিদেশের মাটিতেও বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট হয়েছে। আল-জাজিরাতে যখন দেখি জাবেদ সাহেব মত একজন মন্ত্রী তিনশ বাড়ি দুবাইতে করে তখন আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।

তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি, অর্থনৈতিক রাষ্ট্রদ্রোহীতার আইন এই দেশে পাশ করানো উচিত। যাদের দুর্নীতি কারণে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়, বিনিয়োগে বাধা আসে এসব অপরাধীরা কোনো নরমাল চোর না, এরা স্পেশাল চোর এবং এদের জন্য স্পেশাল আইন থাকা উচিত। স্পেশাল আইন হবে, এদেরকে অর্থনৈতিক রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে সেরকম শাস্তির ব্যবস্থা করা।

বিজেপি) চেয়ারম্যান বলেন, আজ এসআলম দাবি করছে, উনি সিঙ্গাপুরের নাগরিক কিন্তু উনি যখন দেশ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে তখন তিনি কি বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন না? এরা রাষ্ট্রদ্রোহী, এদের একাধিক বার ফাঁসি দেওয়া উচিত। কারণ এরা টাকাও চুরি করসে এবং দেশের সিস্টেমও নষ্ট করসে। এই যে, দরবেশ সালমান তিনি ৩০ লক্ষ মানুষের শেয়ার মার্কেট বাংলাদেশের মিডেল ক্লাস ইকোনমি ধ্বংস করে দিয়েছে।তাই আমি মনে কর সংবিধানে অর্থনৈতিক রাষ্ট্রদ্রোহীতার আইন থাকা উচিত যাতে এসব অপরাধীর বিচার দেশের মাটিতে হয়।
Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال