রাজধানী ঢাকায় স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পর দেশে আইন-শৃঙ্খলা অবস্থা অবনতি হলে রাজধানীতে শুরু হয় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল।
তবে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কঠোর অবস্থানে যান নোবেল জয়ী ড. ইউনূস সরকার। নভেম্বরের মাঝামাঝিতে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়। এর কয়েকদিন পরই চালকরা রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তা অবরোধ করে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল নয়টা থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকেরা অবরোধ শুরু করেন। অবরোধের কারণে মহাখালী, আগারগাঁও, বসিলার আশপাশের এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
তবে নেটিজেনরা বলছেন, রাজধানী অটো চলাচল করতে দেওয়া উচিত নয়। সরকারের এ ব্যাপারে কঠোর হতে হবে। এটা ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের কুট-কৌশল হতে পারে। যার ফলে তারা ইউনূস সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়। যে কোনো মতেই রাজধানীতে অটো চলাচল করতে দেওয়া উচিত নয়।
খায়রুল আলম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, অটো চালকদের কঠোর হস্তে দমন করা প্রয়োজন। এই অটোর কারণে সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অটো বন্ধ হলে সেই পুরনো চিত্র ফিরে পাবে রাজধানীবাসী। বেশিরভাগ অটো চালক নেশাগ্রস্ত এবং বেয়াদব, এটা ১০০% সত্য। এখানে দ্বিমত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সুমন হোসাইন নামে একজন লিখেছেন, এই রিকশাগুলোর কারণে ঢাকাতে এক্সিডেন্ট বেশি হয়। যা আমি নিজের চোখেই কয়েকটা দুর্ঘটনা দেখিছি। তারা হাইওয়ে রাস্তাগুলোকে নিজের বাবা-দাদার সম্পত্তি মনে করে। তাদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
সোহেল বাবু নামে একজনর লিখেছেন, বেআইনি অটো রিকশা চালানোর দাবি তারা কীভাবে করার সাহস পায়। এই নগর থেকে তাদের অবশ্যই চলে যেতে হবে। নয়তো তাদের কঠোরভাবে দমন করার অনুরোধ রইল।
সাকলায়েন রাসেল নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, বেপরোয়া অটোচালকদের শক্ত হাতে দমন করুন। এদের ইন্ধনদাতা মালিকদের চিহ্নিত করুন। ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশাকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।
Tags
মহানগর