"

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেপথ্য নায়কদের মূল্যায়ন করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব


বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন নিশ্চিত করতে সংগঠিত হয়েছিল ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লব।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারি হাসিনা ও তার দোসরদের পর্বতসম দুর্নীতি, লুটপাট, গুম, খুন, বিচারবহির্ভুত হত্যা, দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম, বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের দমন-পীড়ন, জেল-জুলুম-হুলিয়া, জনগণের ভোটাধিকার হরণ তথা গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরণ, টুনকো কারণে অনেককে চাকরিচ্যুত করা ও কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্রসমাজের সাথে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা প্রভৃতি কারণে জুলাই বিপ্লব সংগঠিত হয়। 


২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের দাবিতে হাইকোর্টে রিটকারী ও ঢাবি’র সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক দুই শিক্ষার্থী সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ ও আনিসুর রহমান মীর শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে প্রো-ভিসি নিয়োগ পাওয়ায় ড. গোলাম রব্বানীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ঢাবির সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক অধ্যাপক ড. হাফিজ উদ্দিন ভুইয়া উপস্থিত ছিলেন।


ড. রব্বানী বলেন, গণঅভ্যুত্থানে দেশী-বিদেশী বেশকিছু গণমাধ্যমের অগ্রণী ভূমিকা বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করেছে। তিনি জুলাই বিপ্লবে সমন্বয়কসহ ছাত্র, শিক্ষক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মেহনতি জনতার ঐক্যেবদ্ধ ভুমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০১৮ সালে আমার ছাত্ররা যে হাইকোর্টে কোটা সংস্কারের রিট করেছে এবং বিশেষভাবে এই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমার প্রিয় ছাত্র মোহাম্মদ আবদুল অদুদ সেই সময়ে যে শতাধিক রিপোর্ট করে আন্দোলনে ব্যাপকভিত্তিক গতিসঞ্চার করেছিল, এটাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেপথ্য নায়ক হিসেবে তাকে মূল্যায়ণ করা দরকার বলে আমি মনে করি।

এ সময় অধ্যাপক ড. হাফিজ উদ্দিন ভুইয়া বলেন, জুলাই বিপ্লব মানে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহ, যার উৎপত্তি হয়েছিল ২০১৭-১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে। সেই আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক সূত্রপাত হয়েছিল হাইকোর্টে রিটের মাধ্যমে। আমি গর্বিত যে, আমাদের কৃতি শিক্ষার্থীরাই সেই রিট করেছিল।

এখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব সময়ের সাহসী সন্তানদের মূল্যায়িত করা। বিসিএস বঞ্চিত হয়ে কোটা সংস্কার রিটকারী, কোটা সংস্কারের পক্ষে সেই সময়ে শতাধিক রিপোর্টকারী মোহাম্মদ আবদুল অদুদ ড. গোলাম রব্বানীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আপনাদের মতো শিক্ষকদের উৎসাহ-অনুপ্রেরণার কারণে আমরা সময়ের সাহসী উদ্যোগটি নিয়েছিলাম। দেশের জনগণ যে পরিবর্তন চেয়েছিল, সেই কাঙিক্ষত পরিবর্তনের পথে দেশ এগিয়ে যাক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال