"

২০৫০ সালে ভারত হবে বিশ্বের শীর্ষ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ!


২০৫০ সালে ভারত বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হবে বলে পিউ রিসার্চ সেন্টারের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়াকে পেছনে ফেলে তখন ভারতে ৩১১ মিলিয়ন মুসলিম বাস করবে, যা বিশ্বের মোট মুসলিম জনসংখ্যার ১১ শতাংশ।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ভারতের মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো তাদের কম গড় বয়স এবং তুলনামূলকভাবে উচ্চ প্রজনন হার। ২০১০ সালে মুসলিমরা ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৪.৪ শতাংশ ছিল। এই হার ২০৫০ সালের মধ্যে ১৮.৪ শতাংশে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মুসলিম নারীদের গড় প্রজনন হার বর্তমানে ৩.২, যা হিন্দু নারীদের ২.৫ এবং খ্রিস্টান নারীদের ২.৩-এর তুলনায় বেশি।

এদিকে, ২০৫০ সালেও ভারত বিশ্বের সর্বাধিক হিন্দু জনসংখ্যার দেশ থাকবে। তখন ভারতের হিন্দু জনসংখ্যা হবে ১.০৩ বিলিয়ন। যদিও মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধির ফলে সামগ্রিক জনসংখ্যার কাঠামোতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে।

বিশ্বব্যাপী ইসলাম সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া ধর্ম হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, বর্তমান জনতাত্ত্বিক প্রবণতা অব্যাহত থাকলে শতাব্দীর শেষে মুসলিম জনসংখ্যা খ্রিস্টান জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। ২০১০ সালে বিশ্বব্যাপী মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১.৬ বিলিয়ন। ২০৫০ সাল নাগাদ তা ২.৮ বিলিয়নে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বর্তমানে বিশ্বের মোট মুসলিম জনসংখ্যার ৭২ শতাংশ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাস করে। ইন্দোনেশিয়া বর্তমানে বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হলেও, ২০৫০ সালে ভারত এই স্থান গ্রহণ করবে। পাকিস্তান দ্বিতীয় এবং ইন্দোনেশিয়া তৃতীয় স্থানে থাকবে।

মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধির প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে তাদের কম গড় বয়স, উচ্চ প্রজনন হার এবং যুব জনগোষ্ঠীর আধিক্য। মুসলিমদের গড় বয়স ২২ বছর, যা হিন্দুদের ২৬ এবং খ্রিস্টানদের ২৮ বছরের তুলনায় অনেক কম।

২০৫০ সালের পর এই ধর্মীয় পরিবর্তন ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের বৈচিত্র্যময় ধর্মীয় কাঠামোতে এই পরিবর্তন নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং ভবিষ্যতে একটি নতুন সামাজিক অধ্যায়ের সূচনা করবে।


Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال