"

মসজিদের মিম্বার থেকে দুই দেশকে সতর্কবাতা বিদ্রোহী নেতার


সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে বিদ্রোহী জোটের নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি দামেস্কের ঐতিহাসিক উমাইয়া মসজিদের মিম্বারে দাঁড়িয়ে তার প্রথম বিজয়ী বক্তব্য দেন।


এই বক্তব্য শুধু সিরিয়ার জনগণের জন্য নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে সতর্ক করে।


সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে আল-জোলানির বিজয়ী বক্তব্য তুলে ধরা হয়।


প্রতিবেদনে এই নেতার বক্তব্যে সিরীয় জনগণের দীর্ঘদিনের সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং নির্যাতনের কথা স্মরণ করেন। আল-জোলানি বলেন, যারা দীর্ঘ সময় কারাবন্দি ছিলেন এবং অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন, তাদের আত্মত্যাগের ফলে এই বিজয় এসেছে।


আসাদের পতনের পর, আল-জোলানি আরও শক্তিশালী হয়েছে। তবে তার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো পশ্চিমা শক্তি, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল, যাদের মধ্যে ইতোমধ্যে তার মাথার দাম এক কোটি ডলার ঘোষণা করা হয়েছে। তার এই বক্তব্য মূলত তাদের উদ্দেশ্যে ছিল।


আল-জোলানি পশ্চিমা শক্তি, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, নতুন সিরিয়ার সঙ্গে আপনারা যুক্ত হলেও, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার আপনাদের নেই। তিনি সিরিয়ার ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক বিভাজন দূর করার আহ্বান জানান এবং সব ধর্মাবলম্বী সিরীয়দের একত্রিত হওয়ার ডাক দেন।


এছাড়াও বিজয়ী বক্তব্যে সিরিয়ার নাম খারাপ হওয়ার জন্য আসাদের শাসনকে দায়ী করে তিনি বলেন, সিরিয়া আর মাদকের রাজ্য হবে না, বরং এটি একটি স্বচ্ছ এবং মাদকমুক্ত দেশ হিসেবে পুনর্নির্মাণ হবে। আল-জোলানি সিরিয়াকে শান্তি এবং সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এবং বলেন, এই বিজয়ের মাধ্যমে সিরিয়া একটি নতুন যুগের দিকে পা বাড়িয়েছে।


এভাবে, আল-জোলানি তার বিজয়ের বার্তা শুধু সিরীয় জনগণের জন্য নয়, বরং আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কীকরণও ছিল। সিরিয়ার নতুন নেতা হিসেবে তার কথাগুলো দেশটির ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন পথের সূচনা হতে পারে।
Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال