" বঙ্গবন্ধুর সময়ে কথায় কথায় চাকরি যেত: মতিউর রহমান "

বঙ্গবন্ধুর সময়ে কথায় কথায় চাকরি যেত: মতিউর রহমান


বঙ্গবন্ধুর জামানায় যখন তখন চাকরি চলে যেত বলে মন্তব্য করেছেন মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সাংবাদিক মতিউর রহমান। "ক্যাসেট কেলেঙ্কারী" রিপোর্ট করায় মতিউর রহমানের জেল হয়েছিল, আদালতে ক্যাসেটসহ প্রমাণ দেওয়ার পরও ২২ বছর ধরে এখনো সে মামলা চলছে।

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও প্রখ্যাত সাংবাদিক মতিউর রহমান।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যম অফিসের সামনে বর্তমান আমাদের এই দেশে গরু জবাই করা হয়। তাহলে গণমাধ্যম কর্মীর মূল্যটা কোথায়!

বিএনপি নেতা হারিস চৌধুরীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১১ বছর হারিস চৌধুরী কোথায় ছিলেন সেই রিপোর্ট তিনি তৈরী করেছিলেন কিন্তু দেশের কোন এক স্বনামধন্য পত্রিকা পুলিশের মাধ্যমে জানায় যে সেই রিপোর্টটি ভুয়া ছিলো। কিন্তু সর্বশেষ এটা প্রমানিত হয়েছে যে সে তথ্যটি সঠিক ছিলো।

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের সব আবেদনগুলো না মঞ্জুর করার পেছনে যেমন সাংবাদিকতা দায়ী ঠিক তেমনি রাজনৈতিক কারণও আছে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক কারণেই সাংবাদিকদের বেশী হেনস্তা হতে হয়।

সরকার ভালো কাজ করলে সেটা প্রকাশ করা হবে কিন্তু খারাপ কাজ করলে সেটা প্রকাশ করলেই সাংবাদিকদের দোষ ধরা হয়।

তিনি বলেন,আমেরিকা সাংবাদ স্বাধীনভাবে প্রকাশ করার জন্য রেডিও লাইসেন্স দেয় কিন্তু বাংলাদেশে সেটা কোনভাবেই সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, যারা নতুন সাংবাদিকতা করছে বা যুক্ত হয়েছে তাদের তিনি উদাহরণ দেখান বর্তমান সংবাদমাধ্যম সম্পাদকদের দিয়ে, যে সম্পাদক একটা কলিং বেল টিপলেই তিন- চারজন মানুষ এসে হাজির হন। কিন্তু ড. শামিম রেজার কিতাবের সাথে বর্তমান সম্পাদকের কোন মিলই নেই আছে শুধু আকাশ-পাতাল পার্থক্য।

মতিউর রহমান বলেন, আমাদের দেশের আমূল সবকিছুর পরিবর্তন করতে হবে, শুধুমাত্র আলোচনা করে আর একটা রিপোর্ট তৈরী করে দেশের অবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।

দুঃখ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, আমরা তো দূর্নীতির বিরুদ্ধে কঠিন অবস্থান নিয়ে লিখতে পারিনা। লিখতে দেওয়া হয়না।

তবুও, কথা বলতে হবে সেই সাথে লিখতেও হবে। দেশের মানুষ এবং দেশের অবস্থার পরিবর্তন করতে সব পরিস্থিতি মানুষের সামনে তুলে ধরা উচিত।
Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال