অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, বাংলাদেশে সেনা শাসনের কোনো প্রেক্ষিত নেই। দিল্লির আশ্রয়ে কেউ যদি চোখ রাঙানি দিতে চায় তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। শনিবার বিকেলে নিজ জেলা লক্ষীপুরের রামগঞ্জে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ দিল্লির কোলে আশ্রয় নিয়ে ফস ফস করছে উল্লেখ করে মাহফুজ বলেন, ফ্যাসিস্ট পরাজিত হলেও দিল্লিতে বসে ষড়যন্ত্র করছে। যারা বাংলাদেশের বিরোধী, জনগণের অধিকার বিরোধী তাদেরকে এ দেশে আর পুনর্বাসন দেয়া হবে না। যেকোনোভাবেই আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট এর পর নতুন রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু আমাদের মধ্যে এখনো রাজনৈতিক ঐক্য নেই। সংস্কার মুখের ভুলি নয় এটির জন্য সময় প্রয়োজন। যে সব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনা ধ্বংস করেছে সেগুলো একইরকম রেখে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সংস্কারের পাশাপাশি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের দোসরদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘নতুন করে ওয়ান ইলেভেন আবার তৈরি হবে। এমন দুশ্চিন্তা করে লাভ নেই। আমাদের লক্ষ্য একটি সুস্থ ও অবাধ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপহার দেয়া। তবে শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের জন্য সেই নির্বাচন নয়। কারণ, দেশের গণমানুষকে সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করেছি। তাই আগামী যেকোনো নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট ওই দল ১৬ বছর ক্ষমতায় থেকে খুন, গুম, সন্ত্রাস এবং ভিন্নমতের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের দোসর এখনো যারা সরকারি প্রশাসন এবং বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে আছে। তাদেরকে উৎপাটন করে পুরো একটি সংস্কার কার্যক্রম শেষ করে তবেই নির্বাচন। একই সঙ্গে জুলাই বিপ্লব স্পিরিট ধারণ করে একসঙ্গে সবাইকে নিয়ে দেশ গড়ার শপথ গ্রহণের কথা আবারও তুলে ধরেন।’
সংবর্ধনা শেষে রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সরকারি প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন করেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এর আগে ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে যাবার পথে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক পথসভায় বক্তব্য রাখেন মাহফুজ আলম।
সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন, রামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দিদারুল ইসলাম, উপজেলা জামাত আমির নাজমুল হাসান পাটোয়ারী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অপু সাহা,মুক্তিযোদ্ধা মন্টু মিয়া, লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্র সমন্বয়ক শাহিনের রহমান বাপ্পি,ইসলামি আন্দোলন রামগঞ্জ শাখার সভাপতি ডা. রফিকুল ইসলাম, জামাত নেতা দেওয়ান মো. ইউসুফ, সোনাপুর বাজার ব্যবসায়ীর সভাপতি মাস্টার আবুল হোসেন, জামাতের পৌর আমির হাসানুল বান্না,ভাদুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শার মিন সুলতানা,লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্র আন্দোলনের নেতা আরমান হোসেন, নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুর রহমান তুহিন, জয়নাল আবেদীন শিশির সহ প্রমুখ।