বিশিষ্ট ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে লাখো মানুষের সমাগম ঘটেছে। আগত মুসুল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্থাপন করা হয়েছে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। এ ছাড়াও ১২টি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে অবস্থিত এক নম্বর ক্যাম্পে দেখা যায়, আগতদের মধ্যে অনেকে দীর্ঘ যাত্রা শেষে ঘাড়, কোমর ও পেশির ব্যথা নিয়ে ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এ ছাড়া ভিড়ের কারণে অনেকের বমিভাব, মাথাব্যথা এবং পেটে গ্যাসের সমস্যার মতো অসুস্থতা বেশি।
ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা পটুয়াখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জিয়াউর রহমান জিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাহফিলে আগতদের মধ্যে বেশিরভাগই হালকা শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আসছেন। আমরা তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো গুরুতর রোগীর খবর পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞাপন
পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দূরদূরান্ত থেকে আগত মুসুল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প চালু করেছি। এখানে মেডিকেল অফিসারসহ প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য সহকারীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। একইসঙ্গে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের পরিবহনের জন্য ১২টি অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে মাহফিলকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীতে নেওয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখতে স্থাপন করা হয়েছে শতাধিক চেকপোস্ট। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হয়েছে ৭০০ পুলিশ সদস্য, দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক, সেনাবাহিনীর একাধিক ইউনিট এবং র্যাবের টহল টিম।
ভিআইপি গেটের দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবক জহিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রবেশকারীদের কঠোর তল্লাশি এবং পরিচয়পত্র যাচাই করা হচ্ছে। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান বলেন, মাহফিলটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবকরা একসঙ্গে কাজ করছেন। সকলের সহযোগিতায় মাহফিলটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, ড. মিজানুর রহমান আজহারী বাদ এশা মাহফিল ময়দানে উপস্থিত হয়ে বয়ান করবেন। আশা করা হচ্ছে রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে মাহফিল সমাপ্ত হবে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি লক্ষ করা গেছে। আয়োজকরা মনে করছেন, এমন কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে মাহফিল সফল এবং নিরাপদভাবে শেষ করা সম্ভব হবে।