নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহিত্য বইয়ে ‘একুশের গল্প’ এবং ‘আমাদের নতুন গৌরবগাথা’ যুক্ত করা হয়েছে। তবে জহির রায়হানের ‘বাঁধ’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দেনাপাওনা’, মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ‘লাইব্রেরি’, কবীর চৌধুরীর ‘পয়লা বৈশাখ’, সেলিনা হোসেনের ‘রক্তে ভেজা একুশ’, হুমায়ূন আহমেদের ‘নিয়তি’ এবং জাফর ইকবালের লেখা ‘তথ্যপ্রযুক্তি’ বাদ দেওয়া হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘১৯৭১’ যুক্ত করা হয়েছে। বাদ গেছে সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসটি। এ ছাড়া নির্মলেন্দু গুণের স্বাধীনতা, কাজী নজরুল ইসলামের ‘আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে’, সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমার পরিচয়’ এবং কামাল চৌধুরীর ‘সাহসী জননী বাংলা’ বাদ দেওয়া হয়েছে। জসিমউদ্দীনের পল্লীজননী বাদ দিলেও তার কবিতা ‘যাব আমি তোমার দেশে’ যুক্ত করা হয়েছে। ‘ইংলিশ ফর টুডে’ বইয়ে ‘সেন্স অব সেলফ’, ‘লোনলিনেস’ এবং ‘গ্রাফিতি’ নামে নতুন তিনটি অধ্যায় যুক্ত হয়েছে।
পৌরনীতি ও নাগরিকতা বইয়ে জাতীয় চেতনা ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় অধ্যায়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা অংশে সবকিছু আগের মতো থাকলেও একটি লাইন বাদ দেওয়া হয়েছে। সেটি হলো, ভারতের বহু সৈন্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ হারান।
পরিমার্জন কমিটির অন্যতম সদস্য রাখাল রাহা কালবেলাকে বলেন, স্কুলের ও মাদ্রাসার পাঠ্যবইগুলো থেকে অনেক অতিরঞ্জিত বিষয় বাদ দেওয়া হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের বিষয়গুলো সংরক্ষণের অংশ হিসেবে গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছে। তবে স্বল্প সময়ে সবকিছু নিখুঁত করে করা হয়েছে এমনটি নয়। এরই মধ্যে কিছু ভুল ধরা পড়ার বিষয়টি শুনেছি। এনসিটিবি সেগুলোর সংশোধনী দেবে বলে আশা করছি।
Tags
খেলা