"

বরিশালে বাস শ্রমিকদের ধর্মঘটের ডাক

 

সাড়ে তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধের পর বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার পর বুধবার (২৯ জানুয়ারি) থেকে বরিশাল-কুয়াকাটা এবং বরিশাল-পিরোজপুর রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে রূপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়ন।


অবরোধের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে বাস শ্রমিক ইউনিয়ন তাদের বাস ভাঙচুর এবং শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগ তোলে। ‘নিরাপত্তার কথা বিবেচনায়’ বরিশাল-কুয়াকাটা ও বরিশাল-পিরোজপুর রুটে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রূপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়ন।


মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, বাসের সুপারভাইজার অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি তার সঙ্গে অসদাচরণ করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা রূপাতলী গোল চত্বরে সড়ক অবরোধ শুরু করেন। সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে তারা যান চলাচল বন্ধ করে দেন।


রূপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম চৌধুরি জানান, শিক্ষার্থীরা কয়েকটি বাস ভাঙচুর করেছে এবং শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়েছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদে মালিক-শ্রমিকরা নিজেদের জানমাল রক্ষায় রুটে বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন জানান, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এবং বাস মালিক সমিতির নেতাদের মধ্যে এক বৈঠকে ৮ দফা দাবিতে সমঝোতা হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলোর মধ্যে হাফ ভাড়ার নিয়ম কঠোরভাবে কার্যকরের আশ্বাস পান। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।


শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বাস চলাচলের সময় যাত্রীদের সঙ্গে আচরণ এবং নির্ধারিত ভাড়ার বিষয়ে পরিষ্কার নিয়ম চালু করতে হবে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হাসান রাজু বলেন,আমরা চাই, কোনো বোন আর হেনস্থার শিকার না হোক। আলোচনা ফলপ্রসূ হলেও এর সঠিক বাস্তবায়ন জরুরি।


এদিকে, আন্দোলনের ফলে বরিশাল-ভোলা, বরিশাল-কুয়াকাটা, বরিশাল-বরগুনা এবং বরিশাল-ঝালকাঠি মহাসড়কে যানবাহন চলাচল তিন ঘণ্টা স্থগিত ছিল, যা পরে রাতের মধ্যে পুনরায় চালু হয়। তবে রূপাতলী শ্রমিক ইউনিয়নের ঘোষিত ধর্মঘট নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।

Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال