"

দায়িত্ব পাওয়ার ৭ দিনও হলো না, পাল্টে দিলেন ৮ বছরের না পাওয়ার গল্প


গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ইতালিয়ান জায়ান্ট এসি মিলানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সের্হিও কনসেইসাও। নির্দিষ্ট করে বললে, মিলানের সঙ্গে যাত্রা শুরুর দিনটা ছিল ৩০ ডিসেম্বর। এরপর গুনে গুনে মাত্র ৭ দিন পার করেছেন অফিসে, আর দুটি ম্যাচে বসেছেন ডাগআউটে। তাতেই ক্লাবের ইতিহাস পাল্টে দিয়েছেন ৫০ বছর বয়সী এ পর্তুগিজ কোচ!

ইতালিয়ান সুপার কাপের ফাইনালে গতকাল সোমবার ইন্তের মিলানের মুখোমুখি হয়েছিল মিলান। সৌদি আরবের আল আওয়াল পার্কে শিরোপা নির্ধারণী ‘মিলান ডার্বি’তে অসাধারণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে চির-প্রতিদ্বন্দ্বীদের ৩-২ ব্যবধানের হারিয়ে অষ্টমবারের মতো এ শিরোপা ঘরে তুলেছে এসি মিলান।

তাতেই ক্লাবটির ইতিহাসে উঠে গেছেন কনসেইসাও। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিরোপা এনে দেওয়ার পথে সময়ের হিসাব করলে, ১৯২৯-৩০ মৌসুম থেকে এসি মিলানের ইতিহাসে কনসেইসাওয়ের চেয়ে দ্রুততম শিরোপা জেতার কীর্তি নেই আর কোনো কোচের। এর আগের রেকর্ডটা ছিল ভিনসেনসো মনতেল্লার। ইতালিয়ান এ কোচ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ক্লাবটির হয়ে ১৮তম ম্যাচে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন মিলানকে। মজার বিষয়, সেটাও ছিল ইতালিয়ান সুপার কাপের শিরোপা।

রেকর্ডটা বড় ব্যবধানে নিজের করে নেওয়ার দিনটা অবশ্য সহজ ছিল না কনসেইসাওয়ের। ম্যাচের ৫১ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল মিলান! প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে লাওতারো মার্তিনেস ও দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে মেহদী তেরেমির গোলে এগিয়ে যাওয়া ইন্তের তখন টানা চতুর্থ সুপার কাপ শিরোপার ক্ষণই গুনছে।

৫২ মিনিটে সরাসরি ফ্রি-কিক থেকে থিও এরনান্দেসের গোলে মিলান ব্যবধান কমালেও ম্যাচের নাটাই তখনো ইন্তের মিলানের হাতে। তবে ৮০ মিনিটে ম্যাচের চিত্রনাট্য পাল্টে দেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক। থিও এরনান্দেসের পাস থেকে গোল করে স্কোরলাইন ২-২ করেন আমেরিকান রাইট উইঙ্গার।

দুই গোলে এগিয়ে গিয়ে আবার দুই গোল হজম করার ধাক্কাটা সামলে উঠতে পারেনি ইন্তের। অন্যদিকে প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখা মিলান তখন আরও উজ্জ্বীবিত। শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে সেটার ফলও পেয়ে যায় কনসেইসাওয়ের দল। যোগ করা পাঁচ মিনিটের তৃতীয় মিনিটে রাফায়েল লিয়াওয়ের পাস থেকে ট্যামি আব্রাহামের গোল নিশ্চিত করে, আট বছর পর ইতালিয়ান সুপার কাপের শিরোপা যাচ্ছে এসি মিলানের শো-কেসে।


Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال