"

কাকে নিয়ে প্রশ্ন করায় মন্ত্রিত্ব যায় লতিফ সিদ্দিকীর?

 

মঙ্গলবার(২১ জানুয়ারি) ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ ইউটিউব চ্যানেলে অনলাইন টকশোতে খালেদ মুহীউদ্দীন সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে প্রশ্ন করেন, আপনি আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। সেসময় শেখ হাসিনা আপনার মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেয়, দল থেকে বাদ দেন। আপনাকে কারাগারেও যেতে হয়। এছাড়া সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে প্রশ্ন৷ করার জন্য আপনাকে এই ঘটনার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। আপনার এ বিষয়ে কি মন্তব্য? 

উত্তরে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, প্রশ্ন করা হলো আমার চরিত্র-বৈশিষ্ট্য। আমি যেকোনো বিষয়ে যে কাউকে আমি প্রশ্ন করি। ১৯৬৪ সালে আমি শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রশ্ন করেছি এবং তৎকালীন মনোনয়ন গ্রহণ নিয়ে আপত্তি জানাই। আমি জয় সম্পর্কে কোনো কথা বলিনি। জয় আমাকে কোনোদিন কোনোকথা বলেনি। জয় তথ্য ও প্রযুক্তির উপদেষ্টা ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর,।মন্ত্রণালয়ের না। আমি জয়কে বলেছিলাম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ব্যাপারে, বাবারে এইটার কি করবো। জয় আমাকে স্পষ্ট করে বলেছিলেন,  বড় মামা, আপনি চায়না আর আমেরিকা সম্পর্কে সতর্ক হবেন।আমেরিকা ১০ টাকার জিনিস ১০ হাজার টাকায় দাম ধরে বসবে।

তিনি আরো বলেন, আমার ৬ মাসের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে একমাত্র জয়ের সঙ্গে কথা। তবে আমি বলেছিলাম, জয় কে? সেটি জয়কে প্রশ্নবোধক না। আমি বলেছি জয় হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র, জয় হলো শেখ মুজিবের দৌহিত্র এই হিসেবে। কিন্তু চাটুকার খোসামোদকারীরা শেখ হাসিনাকে কি বুঝিয়েছে আমি জানি না।

তখন খালেদ মুহিউদ্দিন আবার প্রশ্ন করেন, এজন্য আপনার মন্ত্রিত্ব চলে গেল?
উত্তরে তিনি বলেন, না না আমার মন্ত্রিত্ব এজন্য যাইনি। আমি শাসনব্যবস্থায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ যে লুটেরা শ্রেনী, শেখ সেলিম, লিটনের সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছিলাম।

Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال