"

শেখ কামাল গুলি করতে করতে চিৎকার করছিলেন: রাশেদ চৌধুরী

Random Manga

 

 

১৫ই আগস্ট, ১৯৭১। সেদিন সকাল থেকে রেডিওতে ঘোষণা হচ্ছিল শেখ মুজিব ইজ ডেড। কেন শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর ক্যু কেনই বা সপরিবারে হত্যা করা হলো? সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের লাইভে প্রথমবার মুখ খুললেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত এম রাশেদ চৌধুরী বীরপ্রতীক।


রাশেদ চৌধুরী বলেন, অপারেশনে যাওয়ার আগেও তারা জানতেন না মুজিবের ভাগ্যে কী হবে। তিনি জেনেছেন, মুজিবকে বাসায় মারার কোনো প্ল্যান ছিল না। পরিকল্পনা ছিল তাকে অ্যারেস্ট করে সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে নিয়ে সামারি কোর্ট মার্শাল করা। মুজিবের বাসভবনে কী ঘটেছিল তা সরাসরি দেখেননি। পরবর্তীতে জেনেছেন রাশেদ চৌধুরী তার বইয়ে মেজর বজলুল হুদার স্টেটমেন্টে উল্লেখ রয়েছে, তিনি সৈন্য নিয়ে ভোরে মুজিবের বাসভবনে পৌঁছে সুবেদার কে জানান, আর্মি হ্যাজ টেকনওভার।মুজিব ইজ নো মোর ইন পাওয়ার।


শেখ কামাল ও সুলতানা প্রথমে গোলাগুলি শুরু করেন। শেখ কামাল সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসছিলেন। গুলি করতে করতে চিৎকার করছিলেন। দোতলা থেকে গুলি এসে এক সিপাহী মারা গেলে একজন গালি দিয়ে বলেছিলেন, গোষ্ঠী সুদ্ধ মেরে দে। শেখ মুজিবের বাসার চাকর স্বীকার করেছে যে, গোলাগুলি প্রথমে তারা শুরু করেছিলেন। পরে সিপাহীরা গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায় আর হুদার লোকজন নিয়ে প্রবেশ করেন। সে সময় শেখ কামাল মারা যান।


হুদার বক্তব্যে রাশেদ চৌধুরী বলেন, তিনি কয়েকজনকে নিয়ে শেখ মুজিবকে নামানোর সময় শেখ জামাল ও সুলতানা আবার উপর থেকে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়েন। এক গুলিতে মুজিবের পেছনে থাকা সিপাহী পড়ে যায়। গুলির শব্দে ল্যান্সারের লোকজনও এসে পাল্টা গুলি চালায়।এক পর্যায়ে মুজিবের গায়ে গুলি লাগলে তিনি পড়ে যান।

Ads

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال