"

সাড়ে ৭ বছর পর ছেলের সঙ্গে দেখা হবে খালেদা জিয়ার


দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আজ রাতে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রায় সাড়ে ৭ বছর পর লন্ডন প্রবাসী ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা হবে তার। এর আগে, ২০১৭ সালে চিকিৎসার প্রয়োজনে লন্ডনে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

রাত ১০টায় ঢাকার হয়রত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হবেন খালেদা জিয়া ও তাঁর সফরসঙ্গীরা। বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ১০টায় হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। সেখানে ভিআইপি প্রটোকল পাবেন তিনি। 

রাত ৮টায় গুলশানের বাসা ফিরোজা ছেড়ে বিমানবন্দরে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তাঁর যাত্রা ঘিরে সকাল থেকেই গুলশানের বাসার সামনে ভিড় করছেন নেতাকর্মীরা। এদিকে, খালেদা জিয়াকে বিদায় জানানোর সময় যাতে কোনো জনদুর্ভোগ না হয়, সেজন্য ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। 

সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আবারও দলের নেতৃত্ব দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া-এমনটাই আশা করছেন দলের নেতারা। আজ রাত ১০টায় কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার এম্বুলেন্সে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। এরই মধ্যে কাতারের রাজকীয় বহরের উড়োজাহাজটি ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য দুই মাস আগে থেকেই বিদেশে যাওয়ার সব প্রস্তুতি নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। অসুস্থতার কারণে কয়েক দফা বাতিল হয় বিদেশ যাত্রার তারিখ। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ রাতে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হবেন বিএনপি প্রধান।  

বিএনপি নেতারা জানান, যুক্তরাজ্যে গিয়ে খালেদা জিয়া ভর্তি হবে লন্ডন ক্লিনিকে। সেখান খেকে থেকে লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য যেতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রে।  

গতকাল খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, লন্ডন ক্লিনিক বলে একটা পুরনো ঐহিত্যবাহী হসপিটাল আছে। সেই হসপিটালে এটি এনএইচএস-এর অধীন একটি হসপিটাল। সেখানে উনাকে (খালেদা জিয়া) ভর্তি করা হবে। হিথরো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে উনাকে সরাসরি সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। এই হসপিটালে উনি চিকিৎসাধীন থাকবেন। যদি আমাদের ওখানে (লন্ডন ক্লিনিক) সুপারিশ করে যে, ইয়েস শি নিডস; তাদের এখানে নাই, জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হাসপিটালে নিয়ে যেতে হবে, তখন হয়ত যাওয়ার একটা প্রশ্ন আসে।

বিএনপি চেয়ারপারসনকে কাতারের যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশে নেওয়া হচ্ছে তাতে সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা থাকবে। খালেদা জিয়ার সাথে তাঁর প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, ছয়জন চিকিৎসক সহ ১৫ জনের যাওয়ার কথা রয়েছে।
Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال