"

বাংলাদেশি কার্গো জাহাজ আটকে রেখেছে আরাকান আর্মি, ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

 

১৩ দিন পরও মুক্ত হয়নি আরাকান আর্মির হাতে আটক বাংলাদেশি কার্গো জাহাজ। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, মিয়ানমারের উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে না আসলে দুদেশের বাণিজ্য সংকটে পড়বে। সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।


এ ছাড়া পণ্যবাহী জাহাজ আটকে চাঁদাবাজির অভিযোগে ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর পর্যন্ত বাণিজ্য বন্ধ রেখেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। এ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, রাখাইন রাজ্যের অস্থিরতার কারণে বাণিজ্য সংকট তৈরি হচ্ছে। যা প্রভাব ফেলবে সার্বিক অর্থনীতিতে।


কক্সবাজার চেম্বার অ্যান্ড কর্মাস ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে যদি আমরা চিন্তা করতে চাই, তাহলে আমাদের দু দেশের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে বৈঠক করা উচিত।


গত ১৬ জানুয়ারি নাফ নদী থেকে বাংলাদেশি তিনটি জাহাজ আটক করে আরকান আর্মি। ২০ জানুয়ারি দুটি জাহাজ মুক্ত হয়। কিন্তু এখনো একটি জাহাজ ছাড়া পায়নি।


টেকনাফ বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট সভাপতি এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, বোটগুলো চলাচল করছে না। রাখাইনে গোলাগুলি চলছে, ওই রুট দিয়ে বোট আসতে চাইছে না। সে কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।


কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জের টানতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। পণ্যবাহী জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে টেকনাফ বন্দর ক্ষতির মুখে পড়বে বলে দাবি তাদের।


টেকনাফ বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা সোহেল উদ্দীন বলেন, রাজস্ব আহরণ ও পণ্য আমদানি দেখলেই বোঝা যায় আগে কতটা কর্মব্যস্ততা ছিল। এখন স্থবিরতা নেমে এসেছে।


২০২৩-২৪ অর্থবছরে টেকনাফ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি হয় ৭৮ হাজার ৫০০ টন। রপ্তানি এক হাজার ৪০০ টন। অথচ গত জুলাই থেকে জানুয়ারির ২০ তারিখ পর্যন্ত পণ্য আমদানি হয়েছে সাড়ে ১২ হাজার টন। রপ্তানি পণ্য ১ হাজার ৬শ টন।


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের প্রভাব পড়েছে দুই দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে। ইয়াঙ্গুন থেকে নতুন করে কোনো জাহাজ এই বন্দরে আসেনি। ফলে বেকার হয় পড়বে কয়েক হাজার শ্রমিক। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ব্যবসায়ীরা।

Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال