"

পোষ্য কোটা পেতে জীবন দিতেও প্রস্তুত রাবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা


সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা পেতে প্রয়োজনে জীবন দিয়ে দিবেন বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের অফিস সহকারী শফিকুল ইসলাম। কর্মসূচিতে রাবিতে কর্মরত শতাধিক কর্মকর্তা, সহায়ক, সাধারণ ও পরিবহন কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যানারে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে এই মন্তব্য করেন তিনি।

শফিকুল ইসলাম বলেন, “রাবিতে ৫% পোষ্য কোটা আছে, থাকবে। এর বিকল্প আমরা ভাবতে পারি না। প্রয়োজনে আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য জীবন দিয়ে দিব। আমাদের দাবি পূরণ করেই ছাড়ব। ভিসি স্যার আমাদের বলেছেন, ঐদিন যা ঘটেছিল, তা ইসরায়েলের বর্বরতাকেও হার মানায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন জিম্মি দশা হতে দেওয়া যাবে না।”

অফিসার সমিতির সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন বলেন, “আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায় করার জন্য আজকের এই কর্মসূচি। এই পোষ্য কোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা। বহু বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে এই সুবিধা আমরা পাচ্ছি। শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সুবিধা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পাচ্ছেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের ন্যায্য সুবিধা হরণ করতে গত বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয়। আমাদের সারাদিন জিম্মি করে রাখে। বের হওয়ার অনুরোধ করলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। অসুস্থ ও বৃদ্ধ কাউকে ছাড় দেয়নি তারা। প্রশাসনিক দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ওপর চড়াও হয়ে আমাদের সুবিধা বাতিল করে। যা খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, যার ফলে আমাদের এই প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা রাখা দরকার। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো, আমাদের ন্যায্য প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তা নাহলে আমরা কঠিন থেকে কঠিনতর অবস্থান নিবো।”

এর আগে, সোমবার (৬ জানুয়ারি) একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধন করেন তারা।

উল্লেখ্য, গত দুই মাস ধরে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের কারণে রাবি প্রশাসন শিক্ষার্থী ভর্তিতে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সন্তানের কোটা বাতিল করে শুধু কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১% কোটা রাখে। তবে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল ঘোষণা করেন উপাচার্য।
Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال