"

ট্রুডোর জায়গায় কে আসছেন, আলোচনায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী


জাস্টিন ট্রুডো, অনিতা আনন্দ, মেলানী জোলি ও ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। ছবি: ইন্ডিয়া টুডের সৌজন্যে
জাস্টিন ট্রুডো, অনিতা আনন্দ, মেলানী জোলি ও ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। ছবি: ইন্ডিয়া টুডের সৌজন্যে
কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। এ ছাড়া তাঁর দল ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির প্রধান পদ থেকেও সরে গেছেন তিনি। গতকাল সোমবার এই ঘোষণা দেন ট্রুডো। এবার দলের নতুন প্রধান বেছে নেবে তাঁর দল লিবারেল পার্টি। আলোচনায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারীও রয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, লিবারেল পার্টি পরবর্তী সভাপতি বেছে নেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন ট্রুডো। আর এই সভাপতিই দলের হয়ে আগামী বছরের নির্বাচনে লড়বেন।

দলের পরবর্তী সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন অনিতা আনন্দ, মেলানী জোলি, ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, মার্ক কার্নি ও ফ্রাঙ্কোইস-ফিলিপি চ্যাম্পাগনি।

এর মধ্যে অনিতা আনন্দ কানাডার পরিবহন মন্ত্রী। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই নারী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত। তিনি প্রতিরক্ষা ও ট্রেজারি বোর্ডের সভাপতি। তামিল বাবা ও পাঞ্জাবি মায়ের ঘরে জন্ম নেওয়া ৫৭ বছর বয়সী অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করেছেন। এই নারী ২০১৯ সালে ওকভিলের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরে দ্রুতই ট্রুডোর মন্ত্রিসভায় যুক্ত হন।


২০১৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত পাবলিক সার্ভিসেস অ্যান্ড প্রকিউমেন্ট মন্ত্রী ছিলেন অনিতা আনন্দ। এরপর যান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এরপর এ বছর তিনি পরিবহণ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন।

তালিকায় আরও দুজন নারী রয়েছেন। এর মধ্যে মেলানী জোলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন। ৪৫ বছর বয়সী এই আইনজীবী অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করেছেন। ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানাতে বেশ কয়েকবার দেশটিতে যান তিনি। ধারণা করা হয়, তাঁকে রাজনীতিতে এনেছেন জাস্টিন ট্রুডো।

আরেক নারী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড ট্রুডোর বেশ ঘনিষ্ঠি হিসেবে পরিচিত। তিনি মন্ত্রিপরিষদের সবচেয়ে প্রভাবশালী মন্ত্রী। গত ডিসেম্বরে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। ৫৬ বছর বয়সী এই অর্থমন্ত্রীরও সমালোচনা হচ্ছে।


এর বাইরে মার্ক কার্নি ট্রুডোর বিশেষ উপদেষ্টা ছিলেন। কানাডা ও ইংল্যান্ডের ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। আর ফ্রাঙ্কোইস-ফিলিপি চ্যাম্পাগনি বতর্মানে উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও শিল্প মন্ত্রণালয় সামলাচ্ছেন।

২০১৩ সালে গভীর সংকটে থাকা লিবারেল পার্টির ত্রাণকর্তা হিসেবে হাল ধরেছিলেন ট্রুডো। সেবার দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টের হাউজ অব কমন্সে তারা তৃতীয় অবস্থানে নেমে আসে। এ কারণে ট্রুডোর পদত্যাগে লিবারেল পার্টি একটি স্থায়ী নেতৃত্বহীনতার মধ্যে পড়তে পারে। সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হতে পারে লিবারেলরা।


এদিকে, ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার প্রশাসনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সব দেশ কমবেশি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন সময় ট্রুডোর পদত্যাগে কানাডায় নতুন সরকার নির্বাচনের জন্য দ্রুত ভোটের আয়োজনের দাবি জোরালো হয়ে উঠতে পারে।
Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال