ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে। আজ মঙ্গলবার সর্বশেষ হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। এ নিয়ে গতকাল থেকে দুই দিনে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হলেন। গজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এদিকে ইসরায়েরি হামলার কারণে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ ব্যহত হচ্ছে। এতে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নেওয়া উদ্বাস্তুদের মানবেতর জীবন আরও সঙ্কটে পড়েছে।
জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রমের প্রধান টম ফ্লেচার বলেন, ‘ত্রাণকর্মীদেরও ওপরেও ইসরায়েলি বাহিনী অব্যাহতভাবে হামলা চালাচ্ছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় শৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই। উদ্বাস্তুদের জীবন বাঁচানোই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
গাজায় এখন ইসরায়েলি হামলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তীব্র শীত। এই শীতে মানবেতর জীবনযাপন করছে বাস্তুচ্যুত লাখো মানুষ। অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েল মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়ায় বিপর্যয় আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। ঠান্ডায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে নবজাতক ও শিশুরা। এরই মধ্যে তীব্র শীতে ৮ শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স গতকাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তে ইসরায়েলকে ৩৪ জন জিম্মি ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ৩৪ বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হামাস। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হামাস কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, যুদ্ধবিরতি চুক্তি নির্ভর করবে ইসরায়েলের স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়া এবং গাজা থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের ওপর।
তবে জিম্মি মুক্তি নিয়ে করা রয়টার্সের প্রতিবেদন অস্বীকার করেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়। এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে এক বিবৃতিতে বলা হয়, জিম্মিদের কোনো তালিকা দেয়নি হামাস।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪৫ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজারে বেশি মানুষ। আর বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ২৩ লাখ গাজাবাসীর অধিকাংশ।
Tags
আন্তর্জাতিক