শামিমও আসেন। খবর পেয়ে মিল্টনের লোকজন তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় শামিম গিয়ে ওই ছাত্রাবাসে লুকিয়ে পড়েন। পরে শামিমের লোকজন তাকে উদ্ধারে ছাত্রাবাসে ঢুকে দেখেন, সমন্বয়ক নুরুলের কাছে শামিম। নুরুলই তাকে আটকে রেখেছেন, এই ধারণা করে তাকে মারধর করা হয়েছে। আসলে এটা ভুল বোঝাবুঝি।”
ওসি মেহেদী মাসুদ আরও বলেন, “খবর পেয়ে আমরা সমন্বয়ক নুরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশও গিয়েছিল। নুরুল চাইলে মামলা করতে পারেন। মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে রাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার দুপুর দেড়টায় রাবির প্যারিস রোডে এ কর্মসূচির আয়োজন করে স্টুডেন্টস রাইটস অ্যাসোসিয়েশন। মানববন্ধন থেকে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
মানবন্ধনে রাবি সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব বলেন, “এই কাপুরুষোচিত হামলা কেবল একজন ব্যক্তির ওপর আঘাত নয়, এটি ন্যায়ের সংগ্রামের চেতনাকে স্তব্ধ করার গভীর ষড়যন্ত্র। আমরা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সংশ্লিষ্ট দুর্বৃত্তদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোরালো দাবি জানাই।”
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।