"

মাদ্রিদের সভাপতি পদে পেরেজের প্রতিদ্বন্বী পাওয়া যাচ্ছে না এবারও

Random Manga


রেয়াল মাদ্রিদের সবচেয়ে সফল সভাপতির নাম বললে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর নামই বলতে হয়। স্টেডিয়ামের নামই যে সাবেক ফুটবলার ও ৩৪ বছর ধরে ক্লাবের সভাপতিত্ব করা স্প্যানিয়ার্ডের নামে। তাঁর সঙ্গে পাল্লা যদি কেউ দিতে পারেন, সেটি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ।

২০০৯ সালের পর থেকেই মাদ্রিদের সভাপতির ভূমিকায় আছেন পেরেজ। আগামী ৭ জানুয়ারি পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুর হবে। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে পুরো মাস সময় পাবেন ভোটাররা। তবে অত দীর্ঘ সময় নাও লাগতে পারে। স্প্যানিশ সংবাদ মার্কার দাবি, সভাপতি নির্বাচনে এবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন পেরেজ।

২০২১ সালে সর্বশেষ নির্বাচনে মাত্র ১৩ দিনেই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। কারণ অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী পাওয়া যায়নি নির্বাচনে। এবারও এমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনাই দেখছেন সবাই।

২০০০ সালে প্রথমবার মাদ্রিদের দায়িত্ব পেয়ে আর্থিকভাবে ধোঁকা ক্লাবটিকে উদ্ধার করেছিল পেরেজ। তাঁর তারকাপুঞ্জ মাঠে সফলতা না পেলেও বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড হিসেবে মাদ্রিদের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু মাঠের ব্যর্থতা ২০০৬ সালে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ২০০৯ সালে আবার নির্বাচিত হন পেরেজ।

এরপর নিজেদের ইতিহাসের সেরা সময়টা কাটাচ্ছে মাদ্রিদ। গত ১৫ মৌসুমে পাঁচটি লা লিগা ও ৬টি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে মাদ্রিদ। এর বাইরে ঘরোয়া, মহাদেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও ১৯টি ট্রফি জিতেছে মাদ্রিদ। এবং তাঁর সময়ে আর্থিকভাবে সবচেয়ে সুরক্ষিত দল হিসেবে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করেছে স্প্যানিশ ক্লাব।


অতীতে মাদ্রিদের সভাপতি নির্বাচন অনেক দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছিল। ২০০ সালে প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার সময় তিন মাস স্থায়ী হয়েছিল পুরো প্রক্রিয়া। ধীরে ধীরে তা কমে আসছে। এবং গত কয়েকটি নির্বাচনে পেরেজের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কাউকে দাঁড়াতেও দেখা যাচ্ছে না।

২০২১ সালে ২ এপ্রিল শুরু হয়েছিল নির্বাচনী প্রক্রিয়া। এবং ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার। কিন্তু কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় ১৩ এপ্রিল পেরেজকেই সভাপতি হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।

মাদ্রিদের সভাপতি পদে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়াটা অবশ্য একটু জটিল। প্রথমত তাঁকে স্প্যানিশ হতে হবে, ২০ বছর ক্লাবের সদস্য হতে হবে। এবং একটি স্প্যানিশ ব্যাংকে বাজেটের ১৫ শতাংশ ব্যক্তিগত গ্যারান্টি হিসেবে রাখতে হবে। যেহেতু মাদ্রিদের সর্বশেষ বাজেটের অঙ্ক ছিল ১০৭ কোটি ইউরো। অর্থাৎ, ১৬ কোটি ৩০ লাখ ইউরোর গ্যারান্টি দিতে হবে।

Ads

Previous Post Next Post

نموذج الاتصال