"

বাবরকে সাত বোনের এক ভাই ডাকা হয় যে কারণে


বাংলাদেশের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুতফুজ্জামান বাবরকে নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে। তাঁর অতীত কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় "সেভেন সিস্টারস" খ্যাত সাত রাজ্যের বিষয়ে তাঁর ভূমিকা আজও উপমহাদেশের ভূরাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বাবরের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো ভারতের এসব রাজ্যে স্বাধীনতাকামীদের সহযোগিতার চেষ্টা।


২০০৪ সালে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান ধরা পড়ার ঘটনায় বাবর সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই অস্ত্রগুলোর উদ্দেশ্য ছিল সেভেন সিস্টারস অঞ্চলের স্বাধীনতাকামীদের হাতে তুলে দেওয়া। চীন ও পাকিস্তান মিলে ভারতে যতটা অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারেনি, বাবরের পরিকল্পনা তাতে আরো ভয়াবহ পরিণতি আনতে পারত বলে ধারণা করা হয়।

উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর বাজারমূল্য ছিল প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা। বিশ্লেষকদের মতে, এই অস্ত্র সরবরাহ সফল হলে ভারতের নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে পড়ত।

লুতফুজ্জামান বাবরের রাজনৈতিক উত্থান শুরু ১৯৯১ সালে নেত্রকোণা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। ২০০১ সালে বিএনপি-জোট সরকারের ক্ষমতায় আসার পর তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই সময় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। এর পেছনে বাবরের ভূমিকা বিশেষভাবে আলোচিত।

২০১০ সালে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তবে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

সম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের অস্থিরতার প্রভাব ভারতের সেভেন সিস্টারস অঞ্চলে পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন। তাঁর এই মন্তব্যের পর বাবরের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

বাবরের বিখ্যাত উক্তি "উই আর লুকিং ফর শত্রুজ" আজও অনেকের মনে গেঁথে আছে। এসব কারণেই তাকে ভারতের সেভেন সিস্টারসের স্বাধীনতাকামীদের "এক ভাই" হিসেবে অভিহিত করা হয়।
Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال