গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গণহত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত সন্দেহে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ১৩১ জন ভিআইপি মর্যাদার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। কারাগারে থাকা এই বিশেষ বন্দিদের জীবনযাপন, তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং কীভাবে তাদের দিন কাটছে, এসব নিয়ে জনগণের মধ্যে নানা প্রশ্ন এবং কৌতূহল রয়েছে।
কারাগারে আটক এই বিশেষ বন্দিরা কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, "সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বেশিরভাগ বন্দি নামাজ পড়েন। কিছু বন্দি দেরিতে ওঠেন, তবে প্রায় সবাই নামাজ আদায় করেন। এরপর চা-নাশতা খেয়ে কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করেন, গল্প-গুজব করেন বা পত্রিকা পড়েন। কেউ কেউ কারাগারের লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে পড়েন। দুপুর ১২টার পর তারা গোসল করেন এবং গোসল শেষে কেউ কোরআন তেলাওয়াত করেন বা আবার নামাজ পড়েন। বিকালে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় হাঁটাহাঁটি করেন।"
সাধারণ বন্দি ও ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে পার্থক্য বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, "ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিরা অতিরিক্ত সুবিধা পান। তাদের জন্য আলাদা একটি খাট, চেয়ার এবং টেবিল রাখা হয়। কারাগারের লাইব্রেরিতে সবার জন্য পত্রিকা পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে, সাধারণ বন্দিরা স্বতন্ত্র অনুমোদনের মাধ্যমে, নিজের খরচে রুমে পত্রিকা আনতে পারেন। ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিদের জন্য পত্রিকা পড়ার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে এবং তারা টেলিভিশন দেখার সুযোগও পান।"
ভিআইপি বন্দিরা কারাগারে বিশেষ সুবিধা পাওয়ার জন্য দাবি করলেও, কারাবিধি অনুযায়ী তাদের কেবল সুনির্দিষ্ট সুবিধাগুলিই প্রদান করা হচ্ছে। কারাবিধি অনুসারে, প্রতি ১৫ দিনে একবার বন্দিদের নিকটাত্মীয়রা সাক্ষাৎ করতে পারেন। তবে বর্তমানে, কারাগারে আটক ভিআইপি বন্দিদের সঙ্গে কোনো নিকটাত্মীয় সাক্ষাৎ করছেন না।
সরকারি নিয়ম অনুসারে, বন্দি প্রতি ১০ দিনে একবার নির্ধারিত মোবাইল নম্বরে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। কিন্তু, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ বন্দিরা এই সুযোগ এখনও পাননি।
Tags
রাজনীতি