"

যে দেশে হুজুরের চেয়ে নায়িকার ফ্যান ফলোয়ার বেশি, সেখানে নায়িকা কেন পাবলিক প্লেসে বাধা পাবে?

 

সম্প্রতি বাংলাদেশের শোবিজে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে তিন নায়িকার জন্য অনুষ্ঠিত একাধিক অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি হওয়া। জনপ্রিয় এই নায়িকারা যে অনুষ্ঠানগুলিতে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত ছিলেন, সেখানে তাদের যেতে দেওয়া হয়নি, এমনকি বাধাও দেওয়া হয়েছে।


প্রশ্ন উঠছে, যাদের ফেসবুক পোস্টে হাজারো কমেন্ট, লাইকের ঝড় ওঠে, যারা রিলস, ভিডিও এবং নিউজের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, তাদের কেনো পাবলিক প্লেসে উপস্থিত হওয়ার ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হবে?


বিশেষত পরীমনির ফ্যান ফলোয়ারের সংখ্যা তো এতটাই বিশাল, যে তিনি বর্তমানে মিজানুর রহমান আজহারীকেও ছাড়িয়ে গেছেন। আজহারীর ফলোয়ার সংখ্যা যেখানে ৭ মিলিয়নের বেশি, সেখানে পরীমনির ফলোয়ার সংখ্যা ১৬ মিলিয়নে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে একজন নায়িকা কেন পাবলিক প্লেসে যেতে পারবেন না?


এছাড়া, যারা এই নায়িকাদের অনুষ্ঠানে বাধা দিচ্ছেন, তাদের প্রতি একটাই প্রশ্ন—আপনারা কি নিশ্চিত যে বিনোদন হিসেবে শুধুমাত্র সিনেমা বা নারীদের দেওয়া উপস্থাপন ছাড়াও আপনার জীবন চলে? এটা সত্যি যে, পরীমনির পোস্টে তার ভক্তদের মন্তব্য ও প্রশংসা প্রায়ই বিপুল পরিমাণে আসে, যদিও একই সময়ে তাদের কিছু ভক্ত মিজানুর রহমান আজহারীকেও সমর্থন করে।


এই দ্বৈত মনোভাব আমাদের সমাজের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে, যেখানে বিনোদন ও ধর্মীয় আচার একে অপরের সাথে অদ্ভুতভাবে সংঘর্ষ করছে। কিছু মানুষ যাদের কাছে ‘ভালবাসা’ বা ‘সমর্থন’ আদান-প্রদান হয়, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কখনও দ্বৈত, কখনও একতরফা হতে দেখা যাচ্ছে, যা সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।


Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال