এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, "বয়সের ভিত্তিতে নবীন-প্রবীণ এবং যোগ্যতার বিচার করা ঠিক নয়, বরং যে কাজের জন্য কাউকে নির্বাচিত করা হবে, তার যোগ্যতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।" তিনি সম্প্রতি সময় টিভিতে একটি টক শোতে এই মন্তব্য করেন।
ফুয়াদ আরও বলেন, "আমাদের ইতিহাসে এমন অনেক নেতা ছিলেন যারা তরুণ বয়সে দল পরিচালনা করেছেন। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যখন আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন, তখন তার বয়স ছিল ৪০-এর নিচে। একইভাবে, বেগম খালেদা জিয়া যখন বিএনপির নেতৃত্বে আসেন, তিনি ছিলেন অনেক তরুণ। কিন্তু বর্তমান সময়ে দলগুলোর নেতৃত্বের বয়স ৭৫-এর আশপাশে পৌঁছেছে।"
ফুয়াদ এই প্রজন্মের মধ্যে সৃষ্ট ‘জেনারেশন গ্যাপ’-এর কারণ হিসেবে সংস্কৃতিক বাস্তবতার দিকে ইঙ্গিত করেন। তিনি বলেন, "আজকাল ১৮ বছরের তরুণ-তরুণীদের ভোটার হিসেবে বিবেচনা করা হলেও, তাদেরকে এখনও সমাজের অভিভাবকরা 'বাচ্চা' মনে করেন। আবার ২৫ বছরের যুবক-যুবতীকে যারা 'কম বয়সী' মনে করেন, তারা আবার এমপি ও মন্ত্রী হওয়ার যোগ্য বলেও দাবি করা হচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "আমাদের সামনে অনেক তরুণ নেতাও আছেন যারা ক্ষমতায় এসে করাপ্টেড হয়েছেন। ক্যাম্পাস পলিটিক্সে চাঁদাবাজি, লুটপাট, হেন কোনো অন্যায় নেই যা তরুণরা করছে না। কিছু তরুণ বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে তদবীর করে ফ্ল্যাট নিচ্ছে এবং আওয়ামী লীগের মতো কিছু তরুণ বাড়ি দখল করছে। এমনকি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।"
ফুয়াদ শেষ করে বলেন, "এটি জরুরি যে, আমরা নেতা নির্বাচন করি তাদের বয়স দেখে নয়, বরং তার যোগ্যতা, দক্ষতা এবং সততার ভিত্তিতে। কাজের জন্য কেউ কি কোয়ালিফাইড কিনা তা দেখাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।"