শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল, কিলার আব্বাস, সুব্রত বাইন ও ক্যাপ্টেন ইমনসহ তাদের অনুসারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক। শনিবার সকালে ডিএমপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এরই মধ্যে কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছে।
রেজাউল করিম মল্লিক জানান, দনিয়া কলেজের মিনহাজ হত্যাসহ রাজধানীতে ছিনতাই ও হত্যার ঘটনায় ১৯ জন আটক হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দনিয়া কলেজের সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিনহাজকে। স্বজনের দাবি, মিনহাজ ওলামা দলের সরর্থক। পুলিশ বলছে, তাকে হত্যা মামলার আসামি কিং ফয়সাল ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদের আধিপত্যের জেরেই এই হত্যা। এরই মধ্যে পটুয়াখালী থেকে ফয়সালসহ ৭ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার আদাবরে ছিনতাইকারীদের চাপাতির কোপে সুমন শেখের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়। এরপর তার কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল লুটে নেয়। পুলিশের দাবি, সুমনও এক সময় ছিনতাইয়ে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ছিনতাই পেশায় ফেরাতেই তার ওপর হামলা করা হয়।
রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘মিনহাজ যে হত্যা হয়েছে, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি তাদের পূর্ব শত্রুতার জের ছিল। ঘটনায় সংশ্লিষ্ট গ্রেপ্তার রাহাত, সে সরাসরি জড়িত বলে ভিক্টিম তাকে শনাক্ত করেছে। এ ঘটনায় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।’
রেজাউল করিম মল্লিক। ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীতঢাকার ডিবি প্রধান আরও বলেন, ছিনতাই ও দখলে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জড়িত কিনা তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘পিচ্চি হেলাল বা ইমন তাদের গ্রুপের যেই থাকুক, তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় অবশ্যই আনব। পাশাপাশি পিচ্চি হেলালের বা ইমন গ্রুপের কয়েকজন সক্রিয় সদস্যকেও আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এখন পর্যন্ত ট্রেস করতে পারি নি।’
এদিকে, তাঁতীবাজারে ব্যবসায়ীর ছিনতাই হওয়া ৯৮০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ আসামিকে।