হবিগঞ্জের বাহুবলে মোবাইল চুরির অপবাদে এক যুবকের ওপর পৈশাচিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ব্যাপক মারধরের পর গাছে বেঁধে রেখে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। আদালতে মামলার পর এ ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গত ৮ মার্চ যমুনাবাদ গ্রামের সোহেল মিয়ার বাড়ি থেকে দুটি মোবাইল চুরি হয়। পরদিন সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয় জাহেদ মিয়াকে ধরে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন চালায় সোহেলসহ কয়েকজন। এক পর্যায়ে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
স্বজনদের দাবি, জাহেদের বাবা ইউসুফ আলির সাথে একই গ্রামের আমির আলির দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এরই জেরে সোহেল মিয়াকে দিয়ে জাহেদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।
জাহেদ মিয়ার বোন বলেন, ‘আমির আলির সাথে ঝগড়া আছে। মোবাইল চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গাছে বেধে আগুনে পোড়ানো হয়েছে। এর পরেও আমার ভাই স্বীকার করেনি। তারপর তাকে আরও বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া হয়েছে।’
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার। বাদীর আইনজীবী বলছেন, মব ভায়োলেন্স বন্ধে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী কুতুব উদ্দিন জুয়েল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এই মব ভায়োলেন্স বন্ধের ক্ষেত্রে আইনের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।’
পুলিশ বলছে, এরই মধ্যে নির্যাতনে জড়িত আমির আলিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুল হক বলেন, ‘ভিক্টিম মো. জাহিদ মিয়া, ইউসূফ মিয়া আক্রান্তের ঘটনায় এফআইআর দাখিল করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।’
জাহেদের শরীরের বিভিন্ন অংশ আগুনে ঝলসে গেছে।