"

‘ধাক্কা মেরে’ শিক্ষকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ

প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষকদের রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের কাছে কদম ফোয়ারা মোড় থেকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। ফলে প্রায় ৪০ মিনিট বন্ধ থাকার পর ওই এলাকার সড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে।

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুর একটার দিকে প্রতিবন্ধী শিক্ষকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।

সরেজমিন দেখা যায়, দুপুর সাড়ে বারোটা থেকেই পুলিশ রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করছিলেন শিক্ষকদের। পুলিশ তাদের এও বলেছিল— আপনারা কয়েকজন প্রতিনিধি হয়ে আমাদের সঙ্গে আসুন। আমরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে আপনাদের স্মারকলিপি পৌঁছে দেব। কিন্তু এতে কোনোভাবেই রাজি হননি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এদিকে রাস্তায় যানজট বাড়তে থাকে ও তীব্র আকার ধারণ করে। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে পুলিশ মানববন্ধন তৈরি করে তাদের ধাক্কা দিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। তবে এ সময় পুলিশকে কোনো লাঠিচার্জ করতে দেখা যায়নি। পরে যান চলাচল শুরু হয়।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদযাত্রায় বেলা সোয়া ১২টার দিকে বাধা দেয় পুলিশ। ফলে তখন তারা রাস্তা দখল করে কাফনের কাপড় মুড়িয়ে শুয়ে পড়ে। এতে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।

dhakapost

সরেজমিন দেখা যায়, দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ ব্যানারে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাত্রার প্রস্তুতি নেন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কিন্তু শুরু থেকে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। শিক্ষকরা কিছুটা অগ্রসর হয়ে কদম ফোয়ারা মোড়ে এলে পুলিশ সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে মানববন্ধন তৈরি করে তাদেরকে বাধা দেয়। এর প্রতিবাদে শিক্ষকরা কদম ফোয়ারা মোড়েই বসে যান। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি জলকামান আনাও হয়েছে। শিক্ষকরা সড়কে বসে যাওয়ায় পল্টন থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে হয়ে হাইকোর্টের দিকে আসার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে মৎস্য ভবন থেকে শিক্ষা ভবনের দিকে আসার রাস্তা দিয়েও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে পথিমধ্যে থাকা যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হন।

পরে পুলিশ পল্টন থেকে কদম ফোয়ারার দিকে আসার রাস্তায় থাকা গাড়িগুলো প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ইউটার্ন দিয়ে আবারো পল্টনের দিকে পাঠায়। অন্যদিকে মৎস্য ভবন থেকে আসা রাস্তার গাড়িগুলোকে বিকল্পভাবে শিক্ষা ভবনের দিকে যাওয়ার পথ করে দেয়। বর্তমানে এই দুটি সড়কে গাড়ির তীব্র জট তৈরি হয়েছে।

শিক্ষকরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে যদি কেউ এখানে না আসে, তবে রাস্তা থেকে উঠবেন না। 

বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো হচ্ছে— সব বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো সুনিশ্চিত করতে হবে; বিশেষ শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষা ভাতা তিন হাজার টাকা নিশ্চিত করতে হবে; শিক্ষার্থীদের মিড ডে মিলসহ শিক্ষা উপকরণ, খেলাধুলা সরঞ্জাম প্রদান ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পুনর্বাসন সুনিশ্চিত করতে হবে।

Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال