জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে রাখা না হলে আগামী ১৯ মার্চ অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচিও পালন করেছেন তারা। ইসির তৈরি তথ্যভাণ্ডার অন্য কোনো বিভাগের হাতে গেলে অপব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা তাদের।
শুরু থেকেই এনআইডি সেবা দিয়ে আসছে নির্বাচন কমিশন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার এ সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে নিতে আইন সংশোধন করেছিল, তবে তা কার্যকর হয়নি। এখন অন্তর্বর্তী সরকার জন্ম নিবন্ধন, এনআইডি ও পাসপোর্ট সেবা নিয়ে স্বতন্ত্র একটি কমিশন করার উদ্যোগ নিয়েছে।
তবে এনআইডি সেবা ইসিতে রাখার দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাস্তায় নামেন নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। সকাল ১১টায় সারা দেশে নির্বাচন কমিশনের অফিসগুলোর সামনে ‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচি নামে মানববন্ধন করেন তারা। কর্মীদের দাবি, ইসির তৈরি ডাটাবেজ অন্য বিভাগে গেলে অপব্যবহার হতে পারে।
নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক আসাদুজ্জামান আরজু বলেন, ‘আমরা কি এখানে বেতন বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি? আমাদের পদোন্নতির দাবি জানাচ্ছি? এটা কিন্তু আমাদের কোনো সুযোগ সুবিধার দাবি নয়। এটা হলো ১৩ কোটি মানুষ, যাদের তথ্য আমাদের ডেটা সেন্টারে আছে তাদের প্রত্যেকের ডেটা গোপনীয়। এই ডেটা যেন কেউ তছরুপ না করতে পারে। এই ডেটা যেন হাতছাড়া না হতে পারে, আমাদের মূল বিষয়টি সেখানেই।’
বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ‘আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে আমরা যদি কার্যকর পদক্ষেপ না দেখি, এনআইডি আইন বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের পুনর্বহাল করার জন্য তাহলে বুধবার অর্থাৎ ১৯ তারিখ আমরা সারাদেশে নির্বাচন অফিস এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অর্ধদিবস অপারেশন হল্ট করব।’