থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে কয়েক দিন ধরেই আলোচনা চলছে। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি দিল্লি।
এ প্রসঙ্গে আজ শুক্রবার কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, ‘যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা আপনারা জানতে চাইছেন, সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমার কাছে শেয়ার করার মতো কোনো আপডেট নেই।’
আগমী ৩ ও ৪ এপ্রিল ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সম্মেলনে বিমসটেকের সদস্য দেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি। সেখানে সম্মেলনের ফাঁকে নরেন্দ্র মোদি ও মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশ।
গতকাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, এপ্রিলের ২ থেকে ৪ তারিখ ব্যাংককে বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর জোট বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করা যায় কিনা, সে বিষয়ে ঢাকার কাছ থেকে তারা প্রস্তাব পেয়েছেন। তবে বৈঠকের বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস আজ এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘বর্তমানে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দুই দেশের শীর্ষ নেতার মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার মতো অনুকূল নয়।’
একটি সূত্র বলেন, ‘সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী নেতারা যেহেতু বেশ কয়েকবার একই বৈঠকে অংশ নেবেন, সেহেতু দুই নেতার পরস্পরের সঙ্গে দেখা হওয়া ও শুভেচ্ছা বিনিময় করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে এর বাইরে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের সম্ভাবনা নেই।’
অপর সূত্রটি বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই একজন উপদেষ্টা প্রায় প্রতিদিন ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতি বৈঠকের জন্য অনুকূল নয়।’