সিলেটের জৈন্তাপুরে জারিফ আহমদ (৮) নামে এক শিশুর গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জারিফ জৈন্তাপুরের নিজপাট ইউনিয়নের সারীঘাট চৈলাখেল গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরের দিকে কানাইঘাট উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের নয়াগ্রাম ব্রিজের পাশে একটি ডোবা থেকে জারিফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কানাইঘাট থানার ওসি মো. আব্দুল আউয়াল মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, লাশটি গলিত। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কিনা এ অবস্থায় বোঝা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, গত ১৬ মার্চ জারিফের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলমের লাশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি গুরুতর আহত হয়ে মৌলভীবাজার জেলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরে কে বা কারা মৌলভীবাজার থেকে তাকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করে। ১৬ মার্চ ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান।
জৈন্তাপুর থানার ওসি আবুল বাসার মো. বদরুজ্জামান জানান, জাহাঙ্গীর ও জারিফের বাবা নেই। জাহাঙ্গীর কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। দিনমজুরের কাজ করতেন। আর ভাই ছোট ভাই জারিফ শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল। সে প্রতিবন্ধী ভাতা পেতো। কয়েকদিন আগে কাউকে কিছু না বলে জাহাঙ্গীর বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে তাকে জৈন্তাপুরের চিকনাগুলে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখান থেকে তিনি উধাও হয়ে যান। পরে জানা যায়, মৌলভীবাজারে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। সেখান থেকে অজ্ঞাত কিছু লোক তাকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠান। তবে ১৬ মার্চ মারা যান জাহাঙ্গীর।
ওসি আরও জানান, জাহাঙ্গীর নিখোঁজ হওয়ার আগে একদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে জারিফকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে আর জারিফকে বাড়িতে নিয়ে আসেননি। এসব ঘটনার পর আজ কানাইঘাটে জারিফের মরদেহ পাওয়া গেছে।