আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইনকিলাব মঞ্চ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ও গণঅধিকার পরিষদ। এ সময় তারা দ্রুত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে সকল রাজনৈতিক দলকে একমত হওয়ার আহবান জানান। এদিকে, আগামীকাল থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে গণস্বাক্ষর ও অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
জুমার নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে মিছিল বের করে ইনকিলাব মঞ্চ। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও জুলাই হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি বলেন, ‘ওয়ামী লীগ নিয়ে যদি আগামী নির্বাচন হয়, তাহলে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে। ষড়যন্ত্র করে আবারও ক্ষমতা দখল করবে আওয়ামী লীগ।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মিছিল করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। পরে লাইব্রেরির সামনে সমাবেশ করে বক্তারা বলেন, দেশে ক্ষমতা জনতামুখী হতে হবে। কোনো দল আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চাইলে তাদের ৫ আগস্টের মতো পরিণতি হবে।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদস্য সচিব জাহিদ আহসান বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আওয়ামী লীগের খুনিদের, গণহত্যাকারীদের অনতিবিলম্বে বিচার করতে হবে।’
শুক্রবার বিকেলে বিজয়নগরে নিজ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে গণঅধিকার পরিষদ। সকল রাজনৈতিক দলকে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘ ১২ দিন আগের ঘটনা, যেদিন ডাকলো তোমাদের সেদিন কেন এসে প্রেস ব্রিফিং করলা না। কই সেনাবাহিনীতো আমাদের ডাকে না। তোমাদের কেন ডাকে? ভাগ-বাটওয়ারায় মেলে নাই। এই কারণে সব ফাঁস করে হিরো সাজার চেষ্টা করতেছো।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘সমস্ত রাজনৈতিক দল যদি আগামীকাল রাজপথে নামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হবে।’
এদিকে মিরপুর ১০ নম্বরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্থানীয় ছাত্র-জনতা।