মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের কোনও প্রক্সি বাহিনীর প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। আজ শুক্রবার তিনি বলেন, ‘ইয়েমেনের হুতিরা নিজেদের আইন এবং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করে।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেন, ‘হুতিদের যেকোনো হামলাকে ইরানের হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।’ তাঁর এই বক্তব্যের পরই যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
খামেনি বলেন, ‘আঞ্চলিক প্রতিরোধ বাহিনীকে ইরানের প্রক্সি বাহিনী বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বড় ভুল করেছে।’ এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘প্রক্সি মানে কী?’
ইরানের এই সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা বলেন, ‘ইয়েমেনের জনগণের নিজস্ব উদ্দেশ্য রয়েছে এবং ওই অঞ্চলের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোরও নিজস্ব প্রেরণা রয়েছে। সুতরাং তাদের ইরানের প্রক্সির প্রয়োজন নেই।’
ইরান কারও সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াতে চায় না উল্লেখ করে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের হুমকি দেয়, কিন্তু আমরা কখনও কারো সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াতে চাই না। তবে কেউ যদি আমাদের ওপর আঘাত হানে, তারাও অবশ্যই পাল্টা জবাব পাবে।’
ইয়েমেনের বিশ্লেষকেরাও বলছেন, ‘গৃহযুদ্ধের সময় হুতিরা নিজেদের কার্যক্রমের পরিধি প্রসারিত করেছে এবং এই গোষ্ঠীটি নিজেদের আদর্শ ও অভ্যন্তরীণ ভিত্তির ওপর কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।’
তবে রয়টার্স জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠির সঙ্গে ইরান বছরের পর বছর ধরে সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছে। এই গোষ্ঠিগুলো মূলত ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নিজেদেরকে প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে রয়েছে, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এবং ইরাকে শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী।