গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় পাঁচ শিশুসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৩০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৯ হাজার ৭৪৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৩ হাজার ২১৩ জন আহত হয়েছেন। তবে গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিস জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের হিসাবসহ প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।
গাজায় কয়েক দিনে বাস্তুচ্যুত লক্ষাধিক মানুষ
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা (ওসিএইচএ)-এর মুখপাত্র ওলগা চেরেভকো গাজার পরিস্থিতিকে ‘চরম সংকটপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমাদের হিসাব অনুযায়ী, মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
গাজায় চলমান যুদ্ধের ফলে ক্রসিংগুলো বন্ধ থাকায় খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রীর তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। চেরেভকো বলেন, ইসরায়েলের নতুন হামলার পর মানবিক সংস্থাগুলোর পক্ষে কার্যক্রম চালানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি বদলানো না গেলে মানবতার ওপর একটি স্থায়ী কলঙ্ক রয়ে যাবে।
লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলা
এদিকে, লেবানন থেকে ইসরায়েলে দফায় দফায় রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলের সীমান্তে নিক্ষেপ করা তিনটি রকেট প্রতিহত করেছে।
ইসরায়েলের আর্মি রেডিও এক খবরে জানিয়েছে, লেবানন থেকে নিক্ষেপ করা কমপক্ষে পাঁচটি রকেট শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি রকেট প্রতিহত করা হয়েছে এবং দুটি লেবাননের ভূখণ্ডের ভেতরে পড়েছে বলে জানানো হয়।
এই ঘটনার পর লেবাননে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। হামলার জন্য ইসরায়েল হিজবুল্লাহকে দায়ী করলেও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে লেবানিজ গোষ্ঠীটি।