বর্তমানে দেশের নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশে নারীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলেও বাংলাদেশে এখনো নারীরা নানা ধরনের বৈষম্য, সহিংসতা ও শোষণের শিকার হচ্ছেন।
শনিবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
এ সময় রুহুল কবির রিজভীর পাশে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ বিএনপির নারী নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে বিএনপি নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন এবং শোষণ ও নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বিএনপি বিশ্বাস করে, একটি নারীবান্ধব, নিরাপদ ও স্বাধীন সমাজ গড়ে তোলা প্রয়োজন। সেই সমাজে নারী-পুরুষনির্বিশেষে সবাই সমান অধিকার, সুরক্ষা ও মর্যাদা ভোগ করবেন।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমরা যখন নারীর ক্ষমতায়ন, নিরাপত্তা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার কথা বলছি, তখন বাস্তবতা অত্যন্ত হতাশাজনক।
সম্প্রতি দেশজুড়ে নারীদের প্রতি সহিংসতা, বৈষম্য ও অত্যাচারের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। সমাজে নারীদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এখনো অনেক কাজ বাকি আছে।’
নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য ও নারীদের প্রতি সহিংসতা দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে, যা আমাদের জাতির জন্য উদ্বেগের বলে মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘এই কঠিন বাস্তবতায় বিএনপি দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, নারীদের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে এবং শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে নারীরা যেমন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, ঠিক তেমনি অনলাইনেও তারা বিরূপ আচরণের শিকার হচ্ছেন।
রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রী, নারী শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার নারীদের ইভটিজিং, শ্লীলতাহানি ও হেনস্তা করা হচ্ছে। ধর্ষণ ও নির্যাতন করে নারীদের হত্যা করা হচ্ছে।